মহানগর ডেস্ক: বছর পেরোলেই লোকসভা ভোট। শাসক বিজেপিকে হটাতে কংগ্রেস- আপ-সহ এক জোট হয়েছে আঠাশটি অবিজেপি দল। ইতিমধ্যেই তিন-তিনটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোটের। কিছুদিন আগে আসন রফা নিয়ে সমন্বয় কমিটির বৈঠকও হয়েছে। এবার নতুন করে গড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগ্রহণকারী দলের শীর্ষ কমিটির প্রথম বৈঠকে আঠাশটি সদস্যের বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ঐক্য নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ( Stern Message Of Sonia Gandhi)।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের স্পষ্ট তাঁর বার্তা, বিজেপির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ার জোটের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তাঁর এই কড়া বার্তা এমন এক সময়ে দেওয়া হল,যখন মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠক এবং দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক সদস্য শেষ হল। আসন রফার ব্যাপারে কিছু রাজ্যে সমঝোতা হওয়ার পর সোনিয়ার বার্তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে আসন রফার ব্যাপারে কয়েকটি রাজ্যে এখনও সমঝোতা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও পঞ্জাবে আসন রফার বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
ফলে সোনিয়ার এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। মুম্বইয়ে প্রথম বৈঠকের পর ইন্ডিয়া জোটে অংশ নেওয়া দলগুলি জানিয়েছিল তারা ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে যতদূর সম্ভব তারা জোট বেঁধে লড়বে। তবে বিরোধী দলগুলির এমন মন্তব্য অনেকের ভ্রু কুঁচকে দিয়েছে এবং যখন একসঙ্গে কিছু রাজ্যে আসন রফার ব্যাপারে এগোবে, তখন তাদের বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে হবে।
সোনিয়ার পাশাপাশি গত বছর দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সূচনায় মল্লিকার্জুন খারগে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালান। বলেন, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
খারগের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতি,বেকারত্ব, বড় ধরণের বৈষম্য এবং কৃষক, শ্রমিকদের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। মোদী সরকার কোনও কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ভারত এখন এক মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে এবং দেশকে বহু অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মোদী জমানায় মণিপুর ও হরিয়ানার নুতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই ঘটনাগুলি আধুনিক,প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে।