মহানগর ডেস্কঃ সন্দেশখালি সংক্রান্ত যে মামলা শুভেন্দু অধিকারী করেছিল তাঁর শুনানি চলাকালীন জানা গেল সন্দেশখালি যেতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী তবে, নির্দিষ্ট কিছু যায়গা বাদে৷ ৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘সন্দেশখালির যে অঞ্চলে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেখানে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী।’’ শুভেন্দুর আইনজীবীকে এলাকা নির্দিষ্ট করে আদালতকে জানানোর জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি।
শুভেন্দুর বিচারপতির অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।তবে তাঁকে ৩০ কিমি আগেই আটকে দেয় পুলিশ। তাছাড়া, যে বা যাঁরা ধর্ষণের অভিযোগ করছেন, গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন, তাঁদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। Central Intelligence Bureau র একটি রিপোর্ট পেশ করে পাল্টা দাবি করতে ছাড়েনি রাজ্য।তাদের দাবি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ শুভেন্দু অধিকারী ওই এলাকার বাসিন্দা নয়। আগে যে মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটা গ্রামবাসীদের করা মামলা ছিল। তারা নিজেদের অসুবিধার কারণে মামলা দায়ের করতে পারেন।কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যেহেতু, ওই এলাকার বাসীন্দা নয় টাই তাঁর উপস্তিতিতে এলাকায় সমস্যা তৈরি হতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল Central Intelligence Bureau র একটি রিপোর্ট।
যদিও এই যুক্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি৷ তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী ভারতবর্ষের যে কোনও নাগরিক যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। রাজ্য বলতে পারে না যে, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি সন্দেশখালি যাবেন না। প্রশাসন অবশ্যই বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে। কিন্ত যাবেন না এটা বলতে পারে না। সেই বিধিনিষেধ আদৌ গ্রহণযোগ্য কি না, বা সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে সেটা আদালত খতিয়ে দেখবে।’’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘কে প্রভাবিত আর কে প্রভাবিত নয় সেটা কে ঠিক করবে ? কালকে আমার যদি মনে হয় যে সন্দেশখালির ঘটনায় আমি প্রভাবিত হয়েছি এবং আমি ওখানে যেতে চাই, তারপর যদি আমাকে আটকানো হয় তাহলে আমি নিজের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে সেই অভিযোগে মামলা করতেই পারি।’’ এর যুক্তি দিতে রাজ্য আদালতকে জানায়, ‘‘আগে ১৯ টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। এখন ১৫ টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। ফলে আমরা ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছি।’’ এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর বলেন, ‘‘তাহলে যেখানে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে সেই এলাকায় আমাকে যেতে দেওয়া হোক।’’