মহানগর ডেস্ক : সোমবার ফের সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে আসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সন্দেশখালি থেকে ফেরার সময় সাংবাদিকদের এই কথা জানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি সোমবার আবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে আসব। ৩ মার্চ তৃণমূল সন্দেশখালিতে মিটিং করবে বলেছে। আমি আমাদের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূলের মিথ্যা কথা প্রচারের সভার বিরুদ্ধে সভা করব।”
শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার বলেন, “সন্দেশখালিতে আমি এসে থাকব। শেখ শাহজাহান শেষ।” সন্দেশখালির মহিলাদের শুভেন্দু বলেন, “মন শক্ত করে থাকুন। নিজেদের পথ থেকে সরবেন না। সোমবার জেলিয়াখালিতে আমি আসব।” এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন মহিলারা। শেখ শাহজাহান এবং তার অনুচরদ্বয় উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা রোষে ফেটে পড়েন। গ্রামের মহিলারা বলেন, “শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চাই।” শুভেন্দু সন্দেশখালিতে পৌঁছতেই গ্রামবাসীরা তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ তাঁর কাছে তুলে ধরেন। বলেন, আমরা আমাদের ভোট দিতে পারি না। এই সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১১-র পর আর ভোট দিতে পারেননি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই ছিলেন। কেন তিনি তখন প্রতিবাদ করেননি সেই প্রশ্ন বিরোধীরা তুলেছেন। শুভেন্দু এদিন বলেন, “গ্রামে পুলিশ এলে শঙ্খ বাজাবেন। এলাকার সব মন্দিরে আমি মাইক দেবো। রাতে পুলিশের পোশাক পরে বা শাহজাহানের দল এলে মাইকে শঙ্খ বাজাবেন, উলু দেবেন।” মঙ্গলবার সন্দেশখালির মানুষ যে ভাবে শেখ শাহজাহানের এবং তার সাগরেদদের নামে অভিযোগ করেছেন তাতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, অরূপ বিশ্বাসের কথা মিথ্যে প্রমাণ হয়ে যায়। তবে মঙ্গবারও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মা-বোনেরা বলেছেন সব সব সাজানো ঘটনা। শুভেন্দু সাজানো লোক নিয়ে এক্সট্রাদের নিয়ে শুটিং করতে গিয়েছিল। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশ্ন করলেই সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।”
এদিন কুণাল ঘোষ বৃন্দা কারাতের সন্দেশখালি যাওয়াকে, “ফ্যাশন প্যারেড করতে গিয়েছিলেন”, বলে কটাক্ষ করেন।