মহনগর ডেস্ক, উত্তরপ্রদেশ: বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ার প্রবনতা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের প্রসারতা বৃদ্ধির জন্যে মানুষ ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন না। ৮ থেকে ৮০ এখন সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ার পোকা। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার ৩ বছরের বাচ্চারাও জানে। আধুনিক বাবা-মা রাও সন্তানদের সময় দেওয়ার থেকে মোবাইলকে সময় দিচ্ছেন। সেই কারণে সমাজ উন্নতির থেকে বেশি খারাপ পর্যায়ে নিমজ্জিত হচ্ছে। বিদ্যালয়েও ছাত্র ছাত্রীদের নিজের কাছে মোবাইল রাখার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু ছাত্ররা ভুল করে শিক্ষকরা তাঁদের শুধরে দেবেন কি, তা না করে নিজেরাও একই ভুল করছেন। হ্যাঁ, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জোর করে ছাত্রদের দিয়ে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একাধিক পোস্টে লাইক ও শেয়ার করতে বাধ্য করেছেন, এবং তাঁদের অ্যাকাউন্ট সাবস্ক্রাইব করতেও বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ ছাত্রদের।
ছাত্রদের অভিভাবকের মতে, শিক্ষকরা প্রতিদিন ডিউটি চলাকালীন ইনস্টাগ্রামে রিল ভিডিও করেন এবং সেগুলিতে লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করতে বাধ্য করে শিক্ষার্থীদের। বাচ্চারা বিষয়টি তাঁদের অভিভাবকদের নালিশ করলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (ডিএম) কাছে যান তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ব্লক শিক্ষা আধিকারিক গঙ্গেশ্বরী আরতি গুপ্তা। আন্নু নামে একজন শিক্ষার্থী বলেছে, “শিক্ষিকা স্কুলে রিল রেকর্ড করেন এবং ছাত্রদেরকে লাইক ও শেয়ার করার জন্য চাপ দেন। আমরা তা না করলে তিনি আমাদের মারধর করার হুমকিও দেন।” মনীষা নামে আরেক ছাত্রী অভিযোগ করেন, একজন শিক্ষক ছাত্রদের থালা-বাসন, খাবার রান্না ও চা তৈরি করতে বাধ্য করেন। আমরা বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা পাচ্ছি না। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অঙ্কিত বলেছে, তিনি যখন তাঁর একজন শিক্ষককে স্টাফ রুমে ডাকতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “আমাকে আগে জলেবি (একটি মিষ্টি) খেতে দাও”।
তবে শিক্ষকরা সকলেই স্কুলে ভিডিও তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে। একজন শিক্ষক অম্বিকা বলেন, “আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। স্কুলের সময় আমরা শিশুদের মনোযোগ সহকারে পড়াই। স্কুলের সময় শিশুদের শেখার জন্য আমরা মাঝে মাঝে ভিডিও তৈরি করি।