মহানগর ডেস্ক : প্রতারণা মামলায় চরম অস্বস্তিতে জনপ্রিয় অভিনেত্রী-নেত্রী জয়া প্রদা। তাকে পলাতক ঘোষণা করে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল আদালত।প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশেরে রামপুরে জয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কেমারি ও সোয়ার থানায় দু’টি অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত এই মামলায় এবার তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিল উত্তর প্রদেশের আদালত।
প্রতারণা মামলার আগেও একটি সিনেমা হলের কর্মীদের দায়ের করা মামলায় জয়া প্রদাকে জেল ও জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। উত্তর প্রদেশের রামপুরের প্রাক্তন সাংসদ জয়া প্রদা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী বিধি ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। একাধিকবার তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেয় বিশেষ এমপি-এমএলএ কোর্ট। কিন্তু অভিনেত্রী গরহাজির ছিলেন। পর পর সাতবার জামিন অযোগ্য পরোয়ানাও জারি হয় জয়া প্রদার বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও তাঁকে আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ। তারকা অভিনেত্রী বাব় বার গ্রেফতারি এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ পুলিশের। তাঁর সবক’টি মোবাইল নম্বর সুইচ অফ রয়েছে। ফলত, যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে। অবশেষে মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারক শোভিত বনসল জয়া প্রদাকে পলাতক বলে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, রামপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, সার্কেল অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করতে হবে এবং আগামী ৬ মার্চের মধ্য়ে কোর্টে পেশ করাতে হবে অভিনেত্রীকে।
২০১৯ এর লোকসভায় রামপুর থেকে নির্বাচনী লড়াই বড়েন। যদিও জিততে পারেননি। সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের কাছে হেরে যান তিনি। এর আগে ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে ওই রামপুর কেন্দ্র থেকেই সমাজবাদী পার্টির টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। পরে সমাজবাদী পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। গত বছরঅর্থাৎ ২০২৩ সালের অগাস্টে থিয়েটার কর্মীদের ইএসআই না মেটানোর অভিযোগে জয়া প্রদাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল চেন্নাইয়ের একটি আদালত। ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা।