মহানগর ডেস্ক : প্রয়াত হলেন ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক এম এস স্বামীনাথন। ভারতের কৃষিবিজ্ঞানকে নতুন পথ দেখাতে তাঁর অবদান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বিংশ শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ভারতের কৃষিবিজ্ঞানে যুগান্তকারী বিপ্লব এনেছিলেন তিনি।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাধ্যর্কজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রেখে গেছেন তিন কন্যাকে। স্ত্রী মিনা স্বামীনাথনের মৃ্ত্যু হয়েছে আগেই।১৯২৫ সালের ৭ অগস্ট তামিলনাড়ুর কুম্বাকোনামে জন্মগ্রহণ করেন এমএস স্বামীনাথন। তাঁর বাবা এমকে সাম্বাসিভান ছিলেন একজন শল্য চিকিৎসক। সেই সঙ্গে ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীও। স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকে কৃষি বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ জন্মায়। মহাত্মা গান্ধীর অনুপ্রেরণায় স্বামীনাথনকে কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে উৎসাহিত করে। এম এস স্বামীনাথন উচ্চ-ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে ভূমিকা রেখেছিলেন যা ভারতের নিম্ন আয়ের কৃষকদের আরও বেশি ফলন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছিল।টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছিল দেশে। এই সাফল্য তাঁকে এনে দিয়েছিল বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
তিনি ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (১৯৬১-৭২), আইসিএআর (ICAR)- এর মহাপরিচালক এবং ভারত সরকারের কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা বিভাগের সচিব (১৯৭২-৭৯), কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব (১৯৭৯-৮০) নিযুক্ত হন। প্ল্যানিং কমিশনের কৃষি ও বিজ্ঞানের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং পরে সদস্য (১৯৮০-৮২) এবং, ফিলিপাইন্সের আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (১৯৮২-৮৮)-এর ডিরেক্টর জেনারেল। কৃষি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করে। স্বামীনাথন তার জীবনে তিনটি পদ্ম পুরস্কার ছাড়াও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।২০০৭ সাল থেকে ২০১৩সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন ৷ ১৯৬৭সালে তিনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন ৷ পদ্মভূষণ পেয়েছেন ১৯৭২সালে ৷ ১৯৮৯ সালে তিনি পদ্মবিভূষণ পান ৷ এছাড়া ১৯৭১ সালে রামন ম্যগসাইসাই পুরস্কার ও ১৯৮৭ সালে তিনি বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারও পেয়েছিলেন ৷