মহানগর ডেস্ক: আর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই। রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে গোটা দেশ। হু হু করে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে নানা উপহার সহ বহু সামগ্রী। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় কি কি আয়োজন হচ্ছে তা জানতে আগ্রহী গোটা দেশই। আয়োজন নিয়ে দেশবাসীর কৌতূহলের শেষ নেই। জেনে নিন মন্দির উদ্বোধনের পুজোয় কি কি প্রসাদ থাকছে।
২২ জানুয়ারী উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’-এর সময় বিশেষ থেপলা, বাদামের মিষ্টি, মটর কছুরি এবং অন্যান্য বিশেষ খাদ্য সামগ্রী প্রসাদ (নৈবেদ্য) হিসাবে পরিবেশন করা হবে। কলকাতা থেকে পৌঁছে গিয়েছে গাঁদা ফুল, গুজরাট থেকে আসা ৮ ফুটের ধূপ জ্বালানো হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে ১৬ জানুয়ারি থেকেই। প্রসাদ হিসাবে দেওয়া একটি ১২৬৫ কেজি লাড্ডু শনিবার হায়দরাবাদ থেকে অযোধ্যার কারসেবকপুরমে পৌঁছেছে। শ্রী রাম ক্যাটারিং সার্ভিসেস-এর এন নাগভূষণম রেড্ডি, যিনি এই লাড্ডুগুলি তৈরি করেছেন তিনি বলেছেন, “ভগবান আমার ব্যবসা এবং আমার পরিবারকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি বেঁচে থাকা পর্যন্ত প্রতিদিন ১ কেজি লাড্ডু তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেছেন, “আমি একটি খাদ্য শংসাপত্রও এনেছি। এই লাড্ডুগুলো এক মাস স্থায়ী হতে পারে। পঁচিশ জন লোক ৩ দিনের জন্য লাড্ডু তৈরি করেছে।”
অযোধ্যা মন্দিরে অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে শুক্রবার নতুন রাম লালা মূর্তির প্রথম চিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল। কালো পাথরে খোদাই করা এবং কর্ণাটক থেকে প্রাপ্ত মূর্তিটির চোখ এক টুকরো হলুদ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রকাশিত ছবি অনুসারে যাকে গোলাপের মালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। মূর্তিতে দেখা যাচ্ছে রাম লালা, শিশু রাম, দাঁড়িয়ে আছেন। নতুন ৫১ ইঞ্চি মূর্তি, মাইসুর-ভিত্তিক ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ দ্বারা খোদাই করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাম জন্মভূমি মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়েছিল।