মহানগর ডেস্ক : এসপ্ল্যানেড থেকে ময়দান মেট্রোতে যাওয়া এখন অনেক সহজ। সৌজন্যে মেট্রো। এদিকে মেট্রোর গেরোয় ফাঁকা জলপথ! লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা কমছে। যেকারণে প্রায় ২৫ শতাংশ আয় কমেছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায়ের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে এই জলপথ পরিবহণ সংস্থার ৩০০ জন কর্মী এবং তাঁদের পরিবারকে বাঁচাতে আরও সার্ভিস রুট বাড়ানো এমনকি লঞ্চ বাড়ানোর আবেদন করে চিঠি দেওয়া হচ্ছে ।এখন গঙ্গায় হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায়ের নিজস্ব লঞ্চ চলছে পাঁচটি। সংস্থার ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই সমবায় দফতরের পক্ষ থেকে ১২ জনের মনোনীত পরিচালকমণ্ডলী গঠিত হয়।
লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে মিছিল মিটিং জারি রয়েছে। বাসের সংখ্যাও কম রাস্তায়। এমন সময়ে যখন ফেরি সার্ভিসে লক্ষ্মী লাভের আশা করা হয় অন্যদিকে তখন পরিস্থিতি উল্টো। মেট্রোয় ঠাসা ভিড়। ফাঁকা লঞ্চ। মার্চ থেকেই যেভাবে দহনজ্বালা শুরু হয়েছে তাতে মেট্রোয় যাত্রা অনেক আরামদায়ক যাত্রীদের কাছে। লঞ্চমুখো না হওয়ার এটাও একটা বড় কারণ হতে পারে। সর্বোপরি যাতায়াতও অনেক সহজ।
পরিচালকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য এবং প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি রাইচরণ মান্না বা বাপি মান্না। এই বিষয়ে বাপি মান্না বলেন,মেট্রো চালু হতেই দেখা যাচ্ছে, আমাদের দৈনিক যাত্রী সংখ্যা কমছে। আয় ২৫ শতাংশ কমেছে। এখন ট্রেন থেকে নেমেই তো যাত্রীরা হাওড়া থেকে মেট্রোয় উঠে পড়ছেন।’এদিকে এখন যদি রুট না বাড়ে জলপথে তাহলে জলযান চালিয়ে আয় কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকী এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেহারে জ্বালানির দাম বাড়ছে তাতে আয় কমলে সমস্যায় পড়তে হবে বহু পরিবারকে।