Home National “আমি খুব খারাপ মেয়ে” চিঠি লিখে কোটায় ফের আত্মঘাতী JEE পড়ুয়া

“আমি খুব খারাপ মেয়ে” চিঠি লিখে কোটায় ফের আত্মঘাতী JEE পড়ুয়া

by Mahanagar Desk
83 views

মহানগর ডেস্কঃ কোটায় এক সপ্তাহের মধ্যে ফের আত্মঘাতী পড়ুয়া। আত্মঘাতী কিশোরীর বয়স ১৮ বছরের এক জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার্থী। নতুন বছরের এটি দ্বিতীয় ঘটনা। মা, বাবাকে চিঠি লিখে আত্মঘাতী ১৮ বছরের এই পড়ুয়া। চিঠিতে ওই পড়ুয়া লিখেছে, ‘মা-বাবা, আমি জয়েন্টে পারব না।’ পুলিস সূত্রে খবর , নীহারিকা নামে এই ১৮ বছরের কিশোরী নিজেকে বাজে মেয়ে বলে দাবি করেছে।

অত্যন্ত দুঃখজনক এই ঘটনার পর ফের প্রশ্নের মুখে কোটায় জয়েন্টের প্রস্তুতি নিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রী দের মানসিক চাপের ব্যপারে । দুদিন পর, বুধবার, ৩১ সে জানুয়ারি ছিল জয়েন্ট পরীক্ষা। তার আগে সোমবার-ই বাবা, মা-কে চিঠি লিখে চরম পথ বেছে নেয় ওই কিশোরী। পরীক্ষা চিন্তায়, মানসিক চাপে পরেই ওই ছাত্রি আত্মঘাতী হয়। যা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তার লেখা সুইসাইড নোটে। চিঠিতে সে লিখেছে, “মা-বাবা, আমি জয়েন্টে পারব না। তাই আমি আত্মহত্যা করছি। আমি একজন হেরে যাওয়া মানুষ, আমি-ই কারণ, আমি সবচেয়ে খারাপ মেয়ে, সরি, মা-বাবা। এটাই শেষ উপায়।” সূত্রের খবর, ১৮ বছরের এই জয়েন্ট পরীক্ষার্থী রাজস্থানের কোটায় থেকে সে JEE মেইনসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরীক্ষার ২ দিন আগে কোটার শিক্ষা নগরী এলাকায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হয় সে। উদ্ধার হয়েছে তার ঝুলন্ত  দেহ।

এর আগে এই একই ঘটনা ২৩  জানুয়ারি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের এক পড়ুয়া কোটায় আত্মঘাতী হয়। NEET-এর পরীক্ষার্থী ছিল সে। প্রাইভেট কোচিংয়ের মাধ্যমে NEET-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে কোটায় থেকেই। মহম্মদ জায়েদ নামে ওই পরীক্ষার্থী আসলে মোরাদাবাদের বাসিন্দা,বয়স ১৭ ছিল। একটি হস্টেলে থেকে NEET পরীক্ষার জন্য কোচিং নিচ্ছিল সে। নিজের ঘর থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে কোনও সুইসাইড নোট ঘর থেকে পাওয়া যায়নি। বলতে গেলে, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিং ইনস্টিটিউটের জন্য বিখ্যাত রাজস্থানের এই কোটা। কিন্তু এই কোটাতেই ২০২৩ সালে আত্মঘাতী হয়েছে ২৯ জন মতো পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোচিং সেন্টারগুলিতে পড়াশোনার বিপুল পরিমাণ চাপের জন্য এর মধ্যে পরীক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কর্তৃপক্ষ ব্যপারটি নজরে রাখছেন, উদ্যোগ নিচ্ছেন সমস্যা সমাধানের ।

 

 

You may also like