মহানগর ডেস্ক: কিছুদিন আগেই বারাণসীর একটি আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। ব্যাসজীর ভূগর্ভস্থ কক্ষ বলে যেটি পরিচিত সেখানেই পুজো করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশ মেনেই রাতারাতি পুজোর আয়োজন করা হয়। বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রামমন্দির নির্মাণের পর এই রায় নিয়ে কম চর্চা হয়নি। সেই চর্চার আগুনে এবার ঘি দিলেন তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বলেছেন হিন্দুদের এই মসজিদ অবিলম্বে খালি করতে হবে। শুধু কি এই কথা সেই সঙ্গেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সতর্ক করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী শনিবার হিন্দুদের জ্ঞানবাপী ত্যাগ করার কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে মসজিদগুলিকে মন্দিরে রূপান্তর করা উচিত নয়। মসজিদে ‘পূজা’ নিষিদ্ধ করার দাবিতে কলকাতায় জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সমাবেশে যোগ দেওয়ার সময় তৃণমূল নেতা এও প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রীর এমন পদক্ষেপে অনুমতি দেওয়ার “কোন বুদ্ধি” আছে কিনা। এর পরেই তিনি যোগীকে নিশানা করে বলেছেন, “তিনি বাংলায় এলে আমরা তাকে ঘিরে ফেলব। যদি তিনি কোথাও বসেন ( বাংলায় থাকা অবস্থায়) তাকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।” তাঁর কথায়, “এই লোকেরা (হিন্দু উপাসক) জোর করে সেখানে উপাসনা শুরু করেছে। অবিলম্বে জ্ঞানবাপী মসজিদটি খালি করুন।” এখানেই শেষ নয় তৃণমূল নেতা আরও বলেছেন, “আমরা কোনও মন্দিরে প্রার্থনা করতে যাই না । তাহলে ওরা আমাদের মসজিদে আসছে কেন? মসজিদ তো মসজিদ। কেউ যদি মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তর করতে চায়, তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। এটা হবে না। ওই (জ্ঞানবাপি) মসজিদটি ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আছে। তারা কীভাবে এটি ভেঙে ফেলবে?”
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের পর দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন এই ঘটনা প্রমাণ করছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ “একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের রক্ষক” হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, “যোগী আদিত্যনাথ একজন সনাতনী পুত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে হুমকি দেওয়া দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যোগীকে বাংলায় যেতে বাধা দেওয়ার সাহস তাদের নেই।” অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপি প্রধান সুকান্ত মজুমদার রাজ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে দায়ী করেছেন।