মহানগর ডেস্ক: করমণ্ডর এক্সপ্রেসের সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনও টাটকা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। ২ ব্যক্তির উপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন। তাতেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। বুধবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের জামতারায় যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জামতারার কালাঝাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। পূর্ব রেলওয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঝাঝা-আসানসোল মেমু যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ব্যক্তিরা ট্র্যাকের উপর দিয়ে হাঁটছিলেন। প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে যে নিহত ব্যক্তিরা আঙ্গা এক্সপ্রেসের যাত্রী, যা মেমু যাত্রীবাহী ট্রেনের সমান্তরালভাবে চলছিল। আগুন লেগেছে ট্রেনে এই আতঙ্কে চেন টেনে ট্রেন থামানো হলে ওই ব্যক্তিরা আঙ্গা এক্সপ্রেস থেকে ঝাঁপ দেয়। সেই সময়ে সমান্তরাল লাইন দিয়ে যাচ্ছিল মেমু ট্রেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, পূর্ব রেলওয়ের জারি করা বিবৃতিতে এটি অস্বীকার করে বলা হয়েছে যে আঙ্গা এক্সপ্রেসটি যেখানে থেমেছিল সেখান থেকে কমপক্ষে ২ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অঙ্গা এক্সপ্রেসে আগুন লাগার কথাও অস্বীকার করেছে রেল। । ইস্টার্ন রেলওয়ের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেছেন দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের জুনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ গ্রেড (জেএজি) কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন “জামতারার কালঝারিয়া স্টেশনের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনাকে দুঃখজনক খবর” বলেই উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “ঈশ্বর প্রয়াত আত্মার শান্তি দান করুন এবং শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময়টি সহ্য করার শক্তি দিন। প্রশাসনিক দল ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। দুর্ঘটনা।” রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে বহু মানুষের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি।”