Home National ফের ইতিহাস রচনার লক্ষে তৃণমূল, পাল্টা বিজেপির

ফের ইতিহাস রচনার লক্ষে তৃণমূল, পাল্টা বিজেপির

by Mahanagar Desk
3 views

মহানগর ডেস্ক: সাত বছর আগে যন্তর মন্তরে মোদী সরকারের নোট বাতিলের প্রতিবাদে জনসমাবেশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানকার মুখ্য বক্তা ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েক মাসের মধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। গ্রেফতারের আগে পর্যন্ত তাঁর কুচকুচে কালো চুল ছিল। কিন্তু এখন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ এখন সম্পূর্ণ পক্ককেশ। আজ দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের ডাকা রাতের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বললেন, “ইতিহাস এ ভাবেই ঘুরে আসে। সে বারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারের ডেকে আনা বিপদে (সাধারণ মানুষের) পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ বার তিনি নিজে না থাকতে পারলেও মমতার দল বাংলার সাধারণ মানুষের বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লির রাস্তায় নামতে চলেছে।”

তবে এখনও যন্তর মন্তরে সমাবেশ করার কোনও লিখিত অনুমতি তাঁদের দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই দিল্লি এসে গিয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী-নেতা এবং বিধায়কেরা। অন্য দিকে রবিবার রাতে বাংলার বিজেপি সাংসদেরাও দিল্লিতে পৌঁছেছেন। আজ দিল্লিতে নেমে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখেছি, কী ভাবে তৃণমূলের নেতারা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। টাকা উদ্ধার করতে হলে নেতাদের বাড়ি থেকে তা করা দরকার। দিল্লিতে নাটক করে লাভ নেই।’’

এদিকে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদেরা রাজঘাটে যাওয়ার কথা ছিল। এখন থেকেই যন্তর মন্তর অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই দফায় দফায় সেখানে যাবেন তৃণমূল সাংসদরা। আগামিকাল বিকেল সাড়ে ৪টেয় ১৫ জন নেতা-সাংসদকে নিয়ে আবার সুদীপের বাড়িতে বৈঠকে বসবেন অভিষেক। সোমবার ভোরে তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে কলকাতা থেকে আসা বাসগুলি দিল্লিতে ঢুকেছে। এখন থেকেই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমায়, নয়ডা এবং এবং গাজিপুর সীমায় ব্যারিকেড বসিয়ে রাখা হয়েছে। বঙ্গভবন, মহারাষ্ট্র ভবন, পাহাড়গঞ্জ, করোলবাগের হোটেল, ধর্মশালা এবং সেই সঙ্গে কিছু নেতা-সাংসদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি তৃণমূল-কর্মী এদিন তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।

দলীয় সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে দলের নেতাদের বলেছৈন, ‘‘নব জোয়ার কর্মসূচির সময় জেলায় জেলায় গিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি, কেন্দ্রীয় বকেয়া আটকে রাখার জন্য মানুষের জীবন কী ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। তখনই স্থির করি, এই আন্দোলনকে দিল্লি নিয়ে আসব। কিন্তু প্রতিবাদ আন্দোলন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। রেল, বিমানও বাতিল করা হয়েছে।’’

You may also like