মহানগর ডেস্ক : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অঙ্গুলি হেলনে পশ্চিমবঙ্গে এসে লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলকে ব্যতিব্যস্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অপব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির। নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি জারি হয়ে যাওয়ার পর কখনো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এজাতীয় আচরণ দেশবাসী দেখেনি। এই বিষয়টি নিয়েই দিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল শুক্রবার নালিশ জানিয়ে এলেন। কমিশন তৃণমূলের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং আগামী সোমবার ফের তৃণমূল প্রতিনিধিরা দিল্লির নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন, কমিশন তৃণমূলকে সময় দিয়েছে। শুক্রবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের এই কথাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
শশী পাঁজা বলেন, “মহুয়া মৈত্র, আমাদের লোকসভার কৃষ্ণনগরের প্রার্থী, চন্দ্রনাথ সিং রাজ্যের মন্ত্রী, বীরভূমের তৃণমূল নেতা, জুঁই বিশ্বাস, তৃণমূল কাউন্সিলর– লোকসভা নির্বাচনের মুখে বেছে বেছে এদের বাড়িতে ইডি, সিবিআই এবং ইনকাম ট্যাক্স হানা দিচ্ছে। আবার আমাদের কর্মীদের এন আই এ দেখে পাঠাচ্ছে। একটাই কারণ প্রচারে বিঘ্ন ঘটানো। এই পুরো কাজটাই হচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলি হেলানে এবং তার ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতি সক্রিয়তায়। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানালাম যাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার বন্ধ হয়।”
শশী পাঁজা শুক্রবার আরও অভিযোগ করে বলেন, “বেছে বেছে বিজেপি তৃণমূলের উপর এই ভাবে কোথাও লোকসভার প্রার্থী, কোথাও বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতা কোথাও কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরকে হয়রান করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারে সঠিক ভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে। আমরা তো বলছি, এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে সব কিছু চলে যায়। এই সময় কেন্দ্রের নির্দেশে কি ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি অতি সক্রিয়তা দেখাতে পারে? আসলে বেছে বেছে তৃণমূলের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। রাজনীতিতে না পেরে এভাবেই বিজেপি গায়ের জোর ফলাচ্ছে। আমরা বলছি, যদি তদন্ত করারই হয়, তাহলে ভোট মিটে গেলে করুক, এখন কেন?”
শশী পাঁজা বলেন, “কমিশনের ক্ষমতা আছে, আমরা চাই কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে এজেন্সির এই অতি সক্রিয়তা বন্ধ করুক।