মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৩১ মিনিটে শেখ শাহজাহানকে ফোন করেন। কথা হয় দোড় মিনিট। সুকুমার মাহাতো স্বীকার করেন, “হ্যাঁ, আমি ফোন করেছিলাম। আমি ঘুম থেকে উঠে খবর পেলাম দলের থেকে হাজি নুরুলের কাছ থেকে। আমি শেখ শাহকাহানকে বলি, মারামারি হচ্ছে বাড়ির সামনে। ইডির উপর হামলা, মারামারি যেন না হয়, দল থেকে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।” সুকুমার মাহাতো গত ৫ জানুয়ারি ইডির উপর যখন শেখ শাহজাহান বাহিনী হামলা করে তখন তিনি শেখ শাহজাহানকে ফোন করেন। সুকুমার মাহাতো দাবি করেন, “আমি দলের তেমন প্রভাবশালী কেউ নয়। আমি বিধায়কমাত্র। দল যা বলে সেই কাজ করি।”
প্রসঙ্গত শেখ শাহজাহানের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ৫ জানুয়ারি ঘটনার সময় শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ফোনে কাদের কথা হয়েছে তার তথ্য পেয়েছেন তখনই কিন্তু সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক স্বীকার করলেন, “হ্যাঁ, আমি ৫ জানুয়ারি, সকাল ৮টা ৩১ মিনিটে শেখ শাহজাহানকে ফোন করেছিলাম।” তবে শুক্রবার সুকুমার মাহাতো এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিলেও এতোদিন কেন এই প্রসঙ্গে কিছু বলেননি সেই প্রশ্ন উঠছে, প্রশ্ন উঠছে এখন কী ভয় পেয়ে সুকুমার মাহাতো বলছেন, “আমি দলের তেমন প্রভাবশালী কেউ নয়। আমি বিধায়কমাত্র। দল যা বলে সেই কাজ করি”, তবে কী ভয় পেয়েছেন সুকুমার মাহাতো, সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক, যিনি সন্দেশখালির ঘটনা ঘটার পর আক্রান্ত মহিলাদের, গ্রামবাসীদের কাছে গিয়ে তাদের ক্ষোভ- বিক্ষোভের কথা শুনেছেন। তখন কেন তিনি একবারের জন্যও বলেননি তিনি নিজেই ৫ জানুয়ারি, ইডির উপর যখন শেখ শাহজাহান বাহিনীর হামলা চলছে তখন তিনি নিজেই শেখ শাহজাহানকে মারামারি যাতে না হয় ফোনে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সুকুমার মাহাতোর ফোন পাওয়ার পরই দুই অনুগামীর সঙ্গে বাইকে চেপে শেখ শাহজাহান চম্পট দেয়। তাহলে কি শেখ শাহজাহান কোথায় ৫৫ দিন আত্মগোপন করে ছিলেন, সেটা জানতেন সুকুমার মাহাতো? এই তথ্য লুকোতেই কি সুকুমার মাহাতো এখন শেখ শাহজাহানকে ৫ জানুয়ারি সকালে ফোন করার কথা স্বীকার করেও বলছেন, “আমি দলের তেমন প্রভাবশালী কেউ নয়। আমি বিধায়কমাত্র। দল যা বলে সেই কাজ করি।”