মহানগর ডেস্ক: ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় জায়গা পেল রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন (UNESCO Included Shantiniketan In The World Heritage List)। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে ১৯০১ সালে নোবেলজয়ী কবিগুরু এই বিশ্ববিদ্যালয় শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এক্সে তাদের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্সে তিনি এটি ভারতের গর্বের মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন।
অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় শান্তিনিকেতনের অন্তর্ভুক্তির খবর এক্সে শেয়ার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ইউনেস্কোর ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিশাল শর্মা জানিয়েছেন আজ ভারতের বড় আনন্দ ও উৎসবের দিন। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় শান্তিনিকেতনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশের হয়ে তিনি ওয়ার্লড হেরিটেজ কমিটিকে তিনি ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সংস্কৃতিমন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতের বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং আর্কিওলজিকাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়াকে, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ইউনেস্কোর ভারতীয় দূত আরও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তিনিকেতনের আচার্য এবং আজ তাঁর জন্মদিন। ইউনেস্কোর ওয়ার্লড হেরিটেজ তালিকায় শান্তিনিকেতনের অন্তর্ভুক্তির এই গৌরব তাঁর জন্মদিনে একটি ওয়েলকাম গিফট।
ভারতীয় দূত বলেন শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্য যাত্রা বিশ্বম ভাবতয়েকানিদম অর্থাৎ যেখানে বিশ্বের মানুষ একটি আশ্রয় খুঁজে পাবে। গোড়ায় ১৮৬৩ সালে কবিগুরুর বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সেটির পরিবর্তন করে একটি আবাসিক স্কুলে রূপান্তরিত করেন। শুরু করা হয় প্রাচীন শিল্পকলা শিক্ষার কেন্দ্র গুরুকূল। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল মানবতার ঐক্য বা বিশ্বভারতীতে।