মহানগর ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ইলেক্টোরাল বন্ডের সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেলেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই তথ্য জমাও দিল কমিশনে। তারপরই শেষ পর্যন্ত ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নথি অর্থাৎ কে এই বন্ডের দাতা, কে গ্রহীতা তা প্রকাশ্যে আনল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই তথ্যের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিক সংখ্যাও রয়েছে।
আমরা জানি, বহু বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য। কিন্তু তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপে পড়তে হয় এসবিআইকে। দেখা যায়, বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সমস্ত তথ্য প্রকাশ করছে না এসবিআই। তাই সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২১ মার্চ বিকেল পাঁচটার মধ্যে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য জমা দিতে হবে এসবিআইকে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে বিশেষ হলফনামা। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করতে হবে, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছে এসবিআই। সেই নির্দেশ মেনেই বৃহস্পতিবার সব তথ্য কমিশনের কাছে জমা দেয় স্টেট ব্যাঙ্ক। আর তার পরই সেই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছিল এসবিআই। তা থেকে দেখা গিয়েছিল, বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে বিজেপি, যার অর্থাঙ্ক ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল মোট ১৩৯৭ কোটি টাকা পেয়েছে এই ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে। তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৩৪ কোটি টাকা। তেলেঙ্গানার বিআরএসের খাতায় পড়েছে জমা ১৩২২ কোটি টাকা। তবে বন্ডের ইউনিক নম্বর তখনও প্রকাশ্যে আসেনি। এবার কমিশন যে তথ্য প্রকাশ করল তা থেকে দাতা ও গ্রহীতা, সবাইকেই আলাদা করে চিহ্নিত করা যাবে। অর্থাৎ কোন রাজনৈতিক দল কার কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছে সেটা এাই নথি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাবে। এর আগেও এসবিআই কমিশনকে দুটি তালিকা দিয়েছিল। যা ১৪ মার্চ প্রকাশ করেছিল কমিশন। তাতে কে এই বন্ডের দাতা এবং কে গ্রহীতা সেটা স্পষ্ট ছিল না। বৃহস্পতিবার সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আনল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।