মহানগর ডেস্ক: সব জল্পনা উড়িয়ে অবশেষে লোকসভায় পাস হল মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill Passed)। দীর্ঘ টালবাহানার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে বিতর্ক বিসংবাদের পর এই প্রথম ধ্বনি ভোটে পাস হয় বিলটি। নতুন সংসদ ভবনে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে ডাকা বিশেষ অধিবেশনে পাস হয় বিলটি।
বিলটির সমর্থনে ভোট দেন ৪৫৪জন সাংসদ। মাত্র দুজন বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেন। বৃহস্পতিবার বিলটি পেশ করা হবে রাজ্যসভায়। বিলটি জনসুমারি ও ডিমিলিটেশনের পরই আইনে পরিণত হবে। সেজন্য পাঁচ থেকে ছ বছর লাগার কথা, যা বিরোধীদের হাতে সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন আগামী বছরের লোকসভা ভোটের পর ডিলিমিটেশন ও জনসুমারির কাজ শুরু হবে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিলটি লোকসভায় পেশ করা হল। ২০০৮ সালে বিলটি খসড়া তৈরি করে ইউপিএ সরকার। বিলটি তখন রাজ্যসভায় পেশ করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগে বিলটিতে অনগ্রসরদের কোটা নিয়ে দাবি নিয়ে শোরগোল করে বিরোধীরা। গতকাল শাহ বিলটি পেশ করা নিয়ে সদিচ্ছার অভাবের ব্যাপারে বিরোধীদের নিশানা করে কামান দাগেন।
তাঁর অভিযোগ, বিলটি নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া থেকে মনমোহন সিংয়ের আমলে এ নিয়ে মোট পাঁচবার বিলটি লোকসভায় পাস করার চেষ্টা হয়। সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার ব্যাপারে কী কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লোকসভায় বিতর্ক চলাকালীন কংগ্রেসের তরফে সোনিয়া গান্ধী জানান বিলটির ব্যাপারে ইউপিএ সরকারের আমলে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
সোনিয়া বলেন, কতদিন মহিলারা অপেক্ষা করতে হবে? দু বছর… চার বছর… আট বছর? এটা কি ঠিক? কংগ্রেসের দাবি বিলটি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। তপশিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ নিয়ে করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। দলের সাংসদ রাহুল সাংসদ জানান দুটি জিনিস খুব আশ্চর্য লাগছে। এক, সরকার নতুন করে জনসুমারি এবং দুই হল নতুন ডিমিলিটেশন। তাঁর ধারণা আজই বিলটি কার্যকর করা যেতে পারতো।