মহানগর ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে সকাল থেকেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বায়ুসেনা উদ্ধারে হাত লাগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরাখণ্ডের হড়পাবানে উদ্ধারকার্যের জন্য নৌবাহিনীর সাতটি ডাইভিং দলকে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে ওই দলগুলোকে উদ্ধারকার্যে নামানো হবে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ১৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে টানেল থেকে এক ব্যক্তিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
#WATCH| Uttarakhand: ITBP personnel approach the tunnel near Tapovan dam in Chamoli to rescue 16-17 people who are trapped.
(Video Source: ITBP) pic.twitter.com/DZ09zaubhz
— ANI (@ANI) February 7, 2021
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, আটকে পড়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনেকেই জলের তোড়ে ভেসে যেতে পারেন। আহত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। চামোলিতে হিমবাহ ধসের ফলে অলকানন্দা ও ধউলগঙ্গাতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। দুকূল ছাপিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। নদীর তীরের গ্রামগুলোকে বন্যার জল ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধার করতে এয়ারলিফট শুরু হয়েছে। ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের ২০০ জন কর্মী উদ্ধারকার্যে সাহায্য করছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০০ জন কর্মী উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
#WATCH | Uttarakhand: ITBP personnel rescue one person who was trapped in the tunnel near Tapovan dam in Chamoli.
Rescue operation underway.
(Video Source: ITBP) pic.twitter.com/RO91YhIdyo
— ANI (@ANI) February 7, 2021
উদ্ধারকার্যের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী একটা অ্যাডভ্যান্সড লাইট হেলিকপ্টার ও একটি চিতা হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে সি-১৩০ এএন-৩১ এয়ারক্যাফট। ঘটনাস্থলে চিকিৎসাকর্মীদের দুটো দল পৌঁচেছে বলে জানা গিয়েছে।
এই হিমবাহ ধস ২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ডের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। ২০১৩ সালের ১৭ জুন হড়পা বান দেখা দেয়। ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে ১৭ জুন উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি চলে। এত প্রবল বৃষ্টি সাধারণত উত্তরাখণ্ডে দেখতে পাওয়া যায় না। চোরাবাড়ি হিমবাহ গলতে শুরু করে। মন্দিকিনী নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে। সরকারি তথ্যমতে ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল এই বন্যার জেরে। ৪,০২১ জন এখনও নিখোঁজ। নিখোঁজ ও মৃতদের মধ্যে যেমন পর্যটক, তীর্থযাত্রী ছিলেন, তেমনি ছিলেন সাধারণ বাসিন্দা।