মহানগর ডেস্কঃ রেলের দেওয়া মিনারেল ওয়াটার। সিল খুলে খেতে গিয়েই যাত্রী দেখলেন জলের তলায় কালো কালো কিছু ভাসছে। সিল করা বোতলে বিশুদ্ধ পানীয় জল আসলে যে বিশুদ্ধই নয় তার প্রমাণ পেতে সময় লাগে না যাত্রীর। আর সঙ্গে সঙ্গেই গোটা বিষয়টার ছবি তুলে যাত্রী কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রককে ট্যাগ করে টুইট করে দেন। তবে এরপরেও রেলমন্ত্রকের তরফে উত্তর মেলেনি কোনও।
যাত্রীর প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও আদালতের প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও কি নিশ্চুপ থাকবে ভারতীয় রেল দফতর? প্রশ্নটা এখানেই। রেলে সিলবন্দী বোতলে যে জল সরবরাহ করা হয় তা কতখানি বিশুদ্ধ ও পরিশ্রুত সেই ব্যাপারেই ভারতীয় রেলকে কৈফিয়ত তলব করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই আদালতের কাছে দূরপাল্লার ট্রেনে সরবরাহ করা পানীয় জলের স্টেটাস রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে রেলকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
এর আগেও রেলের জলের বিশুদ্ধতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। সিল করা বোতলে ‘বিশুদ্ধ’ তকমা এঁটে নিকৃষ্ট মানের জল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইতিপূর্বেও। সেই বিষয়টাও গড়াও আদালতে। তখনও জলের স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত। কিন্তু ২০১৯ সালের পরে আদালতের কাছে রেল কোনও স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি জনকল্যাণকর সংস্থা দিল্লি হাইকোর্টে রেলের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। সংস্থার আইনজীবীরা কোর্টে অভিযোগ জানান, পানীয় জলের মানই যে কেবল খারাপ তাইই নয়। পাশাপাশি জল জীবানুমুক্ত করার জন্য যে বিভিন্ন ক্লোরিনেশন প্লান্ট তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে সেই পদ্ধতিও স্বচ্ছ নয়। স্টেশনে এবং ট্রেনে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়, তাতে ই কোলাই ব্যাক্টেরিয়া আছে কিনা সেই পরীক্ষাও করা হয় না বলে দাবি করা হয়েছে।
আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভারতীয় রেল দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়িয়েছে, অথচ পরিষেবার মান সেই অনুযায়ী বাড়ছে না কেন? আদালতের নির্দেশ, জলের মানের স্টেটাস রিপোর্ট তৈরি করে প্রথমে রেল মন্ত্রকের কাছে তা জমা দিতে হবে। সরবরাহ করা পানীয় জলের মানের উত্তর মিলবে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে।