মহানগর ডেস্কঃ ১৯৭৯ সালে শুরু হওয়া COMFOW(CENTRAL ORGANISATION FOR MODERNIZATION OF WORKSHOP) সংস্থা প্রায় চার দশক ধরে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত উৎপাদক ইউনিট এবং ওয়ার্কশপের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। মেশিন এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই সংস্থার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। এবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের তরফে এই সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হল।
সূত্রের খবর দীর্ঘ চার দশকের পথ চলার অবসান হতে চলেছে চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গোটা দেশে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ওয়ার্কশপের আধুনিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে এই COMFOW।
রেলের আধুনিকীকরণের উপরে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক। সেই অনুযায়ী অর্থ সংস্থান এবং প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ফলত যে সমস্ত প্রকল্প বা দফতরের বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা নেই সেগুলিকে অবলুপ্ত করা হচ্ছে। আবার কিছু কিছু দফতরকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন মনে করছে রেল মন্ত্রক। সেই দিকে তাকিয়েই রেল মন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।
এই সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরেই কর্মচারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চাকরি হারানোর ভয়ের। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জন্য চাকরি হারানোর কোনও ভয় নেই রেল কর্মচারীদের। তাঁদের দাবি, এই সংস্থায় যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের স্থানীয় রেল বিভাগে বা অন্য দফতরে স্থানান্তরিত করা হবে। সেই নতুন জায়গাতেই তাঁরা কাজ করবেন। তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদও উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সংস্থা বন্ধের অব্যবহিত পর থেকে COFMOW কোনওরকম দরপত্র আহ্বান করতে পারবে না। দরপত্র খুলতেও পারবে না। পাশাপাশি যে সমস্ত প্রকল্প ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে কিন্তু তার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়নি তাদের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে।
সংস্থার নন-গেজেটেড পদগুলিকে সারেন্ডার করে দেওয়া হবে বলে খবর। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, সংস্থার যাবতীয় পরিকাঠামো ও কেন্দ্রীয় ভবন রেলওয়ে বোর্ডের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়া আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে বলে জানানো হয়েছে।