মহানগর ডেস্কঃ ভারতের উত্তর – পূর্ব সীমান্তে যোগাযোগের সমস্যা চিরকালীন। অথচ ওই এলাকায় চিন এবং ভুটানের সীমান্ত। ভারতীয় সেনাদের সবসময় সজাগ থাকতে হয় ওই সীমান্ত এলাকায়। পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় সেনাদের দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যেই ভারতীয় রেল তার তার সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় আরও জোর দিচ্ছে। জানা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে রেল নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার জন্য ভারতীয় রেল অরুনাচল প্রদেশে চিনের সীমান্ত পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যের রাজধানীগুলিকে সংযুক্ত করার পাশাপাশি পড়শি দেশ ভুটানকেও রেলপথের সাহায্যে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অরুনাচলপ্রদেশে নতুন রেল প্রকল্পগুলির জন্য চূড়ান্ত অবস্থানের সমীক্ষা চালানোর কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। উত্তর – পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের তরফে প্রস্তুতিপর্বের তথ্য জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে অরুনাচল প্রদেশ সহ উত্তর – পূর্ব অঞ্চলে আরও কিছু নতুন রেল প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারতীয় রেল চিন সীমান্ত বরাবর ভালুকপং থেকে তাওয়াং এবং সিলপাথার থেকে আলং পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। চিনের সঙ্গে সীমান্তে চলা বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই রেললাইনের কৌশলগত গুরুত্ব থাকবে। পাশাপাশি রেললাইন অল্প সময়ের মধ্যে সীমান্ত এলাকাকে যুক্ত করতে পারবে।
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেলের পরিকল্পনা প্রতিবেশী দেশ ভুটান পর্যন্ত রেললাইন বিস্তৃত করা। রেলপথের মাধ্যমেই যাতে ভুটান সংযুক্ত হতে পারবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামের কোকরাঝার থেকে ভুটানের গেলফু পর্যন্ত নতুন রেললাইন হবে। এই নতুন রেললাইন ৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে বলে জানানো হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বন্যা ও ভূমি ধ্বসের কারণে দিমা হাসাও-এর কিছু অংশে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেইসব রেললাইনের মেরামতের কাজও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের কাজও চলছে ইতিমধ্যেই। নতুন রেল নির্মাণ, ডাবল লাইনের কাজ, স্টেশন উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। এই প্রকল্পগুলির জন্য রেলের তরফে মোট ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানানো হয়েছে।