নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা: তৃণমূল ( TMC ) পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। আর এর ফলে অনাস্থা ডাকল তৃণমূল সদস্যরা। তবে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার নেতড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগ ২০০৮ সালে রহমত গাজি তৃণমূলের প্রধান ছিলেন। পরের বছর সিপিএম দখলে নেয় এই পঞ্চায়েত। প্রধান হন অদুত গাজি। রাজ্যর পালাবদল হলেও ২০১৮ পর্যন্ত লাল দূর্গের হাতে ছিল নেতড়া পঞ্চায়েত।
২০১৮ সাল থেকে পঞ্চায়েত দখলে নেয় তৃনমূল ।প্রধান অদুত গাজি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১৭জন। পরে একজন সদস্য ছেড়ে দেয় চাকরি পাওয়ার কারনে। ২০১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জেতে তৃণমূল।
লালদূর্গ ভেঙে ঘাসফুল ফোটালেও ঘাসফুলের অন্দরে চলছিল ঠান্ডা লড়াই। দুবছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নিতির সরব হয়ে একাধিকবার ঠান্ডা লড়াই সামনে আসে।
ষোল জন সদস্যর মধ্যে দশজনই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। চলতি মাসের ২০ তারিখে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের বিডিও এবং ডায়মন্ড হারবার থানার আইসির কাছে অনাস্থার জন্য আবেদন জমা পড়ে।
উল্লেখ্য এই পঞ্চায়েতের বুথ সংখ্যা ২২টা । বিক্ষুব্ধ সদস্যদের দাবি প্রধান সদস্যদের না জানিয়ে কাজ করান। পঞ্চায়েতে একশ দিনের কাজের দুর্নীতি হয়েছে। সরকারি প্রকল্পর টাকা তছরুপ সহ একাধিক অভিযোগে সরব হন বিক্ষুব্ধরা। তাদের আরো অভিযোগ মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা সহ জেলাপরিষদের সদস্যা তন্দ্রা পুরকাইতের অনুগামী এই প্রধান অদুত গাজি। ফলে দলকে জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়াতে অনাস্থা ডাকে বিক্ষুব্ধ সদস্যরা।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর দাবি যারা অনাস্থা ডেকেছে ২০২১ সালে বিধানসভার পর তাদের বহিস্কার হয়েছিল। যদিও তৃণমুলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দলে বিরোধীরা যে অক্সিছেন পাবে তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।