মহানগর ডেস্কঃ এবার থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের খাবারের বিষয়ে একঘেয়েমির দিন শেষ। দুরপাল্লার ট্রেনের মেনু বলতেই যা যা চোখের সামনে ভাসে আর কী! মাখন-পাউরুটি আর ভেজিটেবিল কাটলেট – এইসব খাবার আর নয়। বরং সিজন অনুযায়ী ভিন্ন স্বাদের খাবারই মিলবে এখন দূরপাল্লার ট্রেনে। যেমন শীতকাল তো চলেই এলো। এবার ট্রেনের সফরকালে আপনি পেয়ে যেতে পারেন বিভিন্ন স্বাদের পিঠে। আবার ভাদ্র মাস অর্থাৎ অগাস্ট মাসে সফরকালে আপনি চাইলে পেতে পারেন তালের বড়া। সঙ্গে সাদা লুচি আর আলুর দম তো রইলই। তবে এইসব মেনু আপনি পাবেন হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ছাড়া ট্রেনে। আবার একই সঙ্গে মুম্বই থেকে ছাড়া ট্রেনে পাওয়া যাবে বড়া – পাও। আবার গুজরাত থেকে ছাড়া ট্রেনে মিলবে ধোকলা-ফাকড়ার মত খাবার।
ভারতীয় রেল বোর্ড দূরপাল্লার ট্রেনের খবার নিয়ে মঙ্গলবার যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা থেকে এমনটাই পরিষ্কার বড় ধরণের পরিবর্তন আসতে চলেছে দূরপাল্লার ট্রেনের পরিবেশন করা খাবারে। রেল বোর্ডের ওই নির্দেশিকায় দাবি, ধরা বাঁধা মেনুতে আর আটকে থাকা নয়। নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে ডায়াবেটিসের রুগী সেইরকম খাবার অর্ডার দিতে পারবেন। পাশাপাশি খুব বড় সমস্যার সমাধান আনতে চলেছে রেল। তা হল, কোলের শিশুকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময়ে ওই খুদের উপযুক্ত খাবারও পাওয়া যাবে ট্রেনেই। আবার যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁদের জন্য থাকবে বাজরা দিয়ে তৈরি করা ন্যূনতম কার্বোহাইড্রেট থাকা খাবার।
আইআরসিটিসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেল যাত্রীদের একটা বড় অংশ খাবারের মেনু নিয়ে অভিযোগ করেন। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি, ট্রেনে স্থানীয় খাবার পাওয়ার। সেই দাবি মেনেই এই সিদ্ধান্ত আইআরসিটিসি-র তরফে নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু খাবারের বৈচিত্র্য নয়, খাবারের মান ভাল করার ব্যাপারেও জোর দেওয়া হয়েছে রেল বোর্ডের এই নির্দেশিকায়।