মহানগর ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ জারি রয়েছে বিরোধীদের। বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই উত্তাল উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ। এই আবহে শাস্তি স্বরূপ সাসপেন্ড করা হয়েছে বিরোধী পক্ষের সাংসদদের। যেই কারণে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন সাসপেন্ডেড সাংসদরা। এবার মিডিয়া রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপি (BJP) নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ চলাকালীন তন্দুরি মুরগি খাচ্ছেন। তাঁর প্রশ্ন, “এটা কী প্রতিবাদ নাকি প্রহসন না পিকনিক?”
মূলত মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যে সকল সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কিছু জন তন্দুরি মুরগি খেয়েছেন সেখানে বসে। সকলেরই জানা যে, গান্ধীজি পশু হত্যার বিপক্ষে ছিলেন। তাই সেদিক থেকে প্রশ্ন উঠেছে, গান্ধীজির মূর্তির সামনে বসে যে কাজটি হচ্ছে সেটা প্রতিবাদ নাকি পিকনিক? এদিকে বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘এটি ভুয়ো। মুদ্রাস্ফীতির কারণে সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাঁদের কাছে উত্তর নেই, তাই এই ধরনের অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন। আরএসএস-এর লোকেরা এবং মন্ত্রীরা বন্ধ দরজার আড়ালে সব কিছু খায়। সুতরাং আমাদের খাবার নিয়ে মন্তব্য করবেন না’।
প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন যে, “আমরা জানি বিজেপি-আরএসএস বাইরে কী বলে এবং একান্তে কী খায়। তাই অন্য সাংসদদের নিয়ে কথা বলার আগে ভেবে বলুন। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে লিখেছেন, বিরোধী সাংসাদদের ৫০ ঘন্টার অবিরাম ধর্না জারি রয়েছে। সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হোক। এদিকে আজ আরও তিনজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দু’জন আম আদমি পার্টি এবং একজন নির্দল।
আজকে সাসপেন্ড হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সুশীল কুমার গুপ্তা, সন্দীপ কুমার পাঠক এবং অজিত কুমার ভূঁইয়া। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং তাঁদের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, ‘তাঁরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছে হাউসে। যে কারণে আগামী এক সপ্তাহ তাঁদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে’। একদিকে জারি রয়েছে শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ, অন্যদিকে তা “পিকনিক” বলে কটাক্ষ করছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে।