মহানগর ডেস্কঃ কয়েকদিন ধরেই শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দেওয়া খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চরম অর্থ সংকটে ভুগছে। সংকট মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠিও লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। পাশাপাশি এই অর্থ সমস্যার সমাধান করতে অর্থনীতির অধ্যাপকের নেতৃত্বে আর্থিক কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি। কোষাগার ফাঁকা হয়ে যাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকেই দোষী সাব্যস্ত করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস নিজেই গোটা বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই উৎকর্ষতায় পৌঁছতে পারত না। তিনি এও জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। পাশাপাশি সর্বত্রই স্থানীয় সরকারের সাহায্য কমেছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, আইআইটিগুলিও গত কয়েক বছরে প্রাক্তনীদের সাহায্য গ্রহণ করেছে। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও একই পথে হেঁটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের এই বিবৃতির পরেই ফের শোরগোল শুরু হয়েছে শিক্ষা মহলে। আর্থিক সংকটের বিষয়টা ধামাচাপা দিতেই সরকারের পক্ষে উপাচার্যের এই অবস্থান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটের জন্য রাজ্য সরকারকে দুষেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের আর্থিক বেহাল অবস্থার প্রতিফলন যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট। আগামী দিনে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই এমনও ঘটনা ঘটবে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে সমস্ত ছাত্র শিক্ষক মিলে প্রতিবাদ করা উচিত নয়ত আগামী প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একই সুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদকের কণ্ঠেও। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তের খরচ ৪৫-৫০ কোটি টাকা। সেখানে রাজ্য সরকারের দেয় অর্থ ২০ কোটি টাকা। ফলত প্রায় ৩০ কোটি টাকার ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। তাতেই বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।