মহানগর ডেস্ক : দীর্ঘ ৪৮ বছরের সুখী দাম্পত্য জীবন অমিতাভ-জয়ার। তাদের জীবনের গল্পটা কোন সিনেমার থেকে কম নয়। দুই সন্তান শ্বেতা এবং অভিষেককে নিয়ে দেখতে দেখতে বহু বছর একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন অমিতাভ-জয়া। মাঝে যদিও প্রতিকূলতা এসেছে, এসেছে অর্থনৈতিক সংকট তবে সবকিছু দুজনে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উতরে গিয়েছেন।
জয়া যখন নিজের ক্যারিয়ারের একদম তুঙ্গে ছিলেন ঠিক সেই সময় বিয়ে করা সিদ্ধান্ত নেন বিগবিকে। তবে বিয়ে করার পর অভিনয় জগতে সেভাবে দেখা যায়নি তাকে। তার পেছনে অবশ্য ছিলেন অমিতাভ নিজেই। শর্ত রেখে ছিলেন স্ত্রীর কাছে আগের মত আর কাজ করা যাবে না। এমনকি যে ছবিতে তিনি বলবেন শুধুমাত্র সেই ছবিতে কিছু সময়ের জন্য অভিনয় করতে পারবেন জয়া। মেনে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সরে এসেছিলেন রুপালি পর্দা থেকে। তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে তিনি নিজেকে আদ্যপ্রান্ত সুখী বলেই মনে করেন। একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে তার ক্যারিয়ার ছেড়ে ঘর সংসার করা নিয়ে। কথা উঠেছে তার স্যাক্রিফাইস জীবন নিয়ে। যদিও জয়আইটি মেনে নিতে প্রস্তুত নন।
তার জীবনটা স্যাক্রিফাইসে কেটেছে এমনটা মোটেই মনে করেন না তিনি। সেই কথাই জানালেন নাতনি নব্যার পডকাস্ট প্রোগ্রামে এসে। যখন খোদ নাতনি তাকে এমন প্রশ্ন করে বসেন যে কেন তিনি জীবনটাকে স্যাক্রিফাইসে কাটিয়ে দিলেন। তার বিরোধিতা করেন জয়া। বলেন,’ এই কথাটি মোটেই ঠিক নয়’। কারণ তিনি বলেছেন তিনি যে কাজ করেছেন তা তিনিনিজেই করেছেন। ভালোবেসে করেছেন। বরং এটাকে তিনি স্যাক্রিফাইস বলতে চান না। অমিতাভ, অভিষেক এবং তার মেয়ে শ্বেতাকে যে সময় দিয়েছেন তা ভালোবেসেই দিয়েছেন। অনেক বেশি আনন্দ করে দিয়েছেন। তাই একে স্যাক্রিফাইস বলতে নারাজ তিনি।
প্রসঙ্গত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন,’ আমি সব সময় মনে করি অন্যদের সাহায্য করলে নিজে ভালো থাকা যায়’। উল্লেখ্য একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে মাঝে মাঝে শিরোনামে উঠে এলেও। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। বরং এখনো তার পুরনো ছবি টিভির পর্দায় এলে টিআরপির তালিকা থাকে তুঙ্গে।