Highlights |
|
|
|
মহানগর ওয়েবডেস্ক: রবিবার রাতে দুষ্কৃতীরা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে৷ মুখোশ পরিহিত শ’খানেক মহিলা- পুরুষ জেএনইউর ক্যাম্পাসে ঢুকে হোস্টেলগুলিতে গিয়ে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে৷ তাদের এই তাণ্ডবের ফলে পড়ুয়া ও শিক্ষক মিলিয়ে মোট ৫২ জন আহত হয়েছে৷ এই ঘটনায় সাংঘাতিক আহত হয়েছেন জেএনইউ-র বাম ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষ, অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন প্রমুখ৷ এই ঘটনার জেরে পদত্যাগ করলেন জেএনইউ-র সাবরমতি হোস্টেলের সিনিয়র ওয়ার্ডেন আর মীনা৷
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে হামলা চালাল মুখোশ পরিহিত একদল দুষ্কৃতী। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর হামলার পাশাপাশি সম্পত্তিও নষ্ট করা হয়। লাঠি ও পাথর হাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়া দুষ্কৃতীরা ত্রাসের সঞ্চার করতে থাকে। বাম সমর্থিত সংগঠনের সদস্য প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া এবং ১২ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
বাম সংগঠন ও বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি একে অপরের দিকে দোষারোপের আঙুল তুলেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এসে এলাকা পরিদর্শন করে জানিয়ে দেয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীরা অভিযোগ করতে থাকেন, তাঁরা এখনও নিরাপদ নন। দুষ্কৃতীরা চত্বরেই লুকিয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়া নিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে দায়ী করতে থাকেন। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন। পুলিশের সদর দফতরের সামনে শয়ে শয়ে ভিড় জমে যায় হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য।
জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের প্রধান ঐশী ঘোষ রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার তিনি জানালেন,তিনি পুলিশকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ার বিষয়ে জানালেও কোনও হস্তক্ষেপ করেনি পুলিশ।মধ্যরাত্রি থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ নানা মহল থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে৷