Highlights |
|
|
|
মহানগর ওয়েবডেস্ক: মেয়ের ওপর হামলায় তিনি ‘ভীত’, ‘সন্ত্রস্ত’। আজ যা নিজের মেয়ের সঙ্গে হয়েছে, আগামীকাল সেটা তাঁর সঙ্গেও হতে পারে। এই আতঙ্কেই এখন প্রমাদ গুনছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের বাবা।
ঐশীর বাবা দেবাশিস ঘোষ ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী। দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন কলোনির আবাসনে থাকেন তাঁরা। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শহরের দু’টি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা ঐশীর। তার পরে দিল্লির দৌলতরাম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে যান। সেখানেই এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১৬ সালে জেএনইউ-এ স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। এখন সেখানেই এমফিল করছেন। ঐশীর বোন ইশিকাও এখন দিল্লির একটি কলেজে পড়াশোনা করছে। গতকাল জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে এবিভিপি আশ্রিত গুণ্ডারা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। সেই হামলায় গুরুতর আঘাত পেয়ে এইমসে ভর্তি হয়েছেন ঐশী। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে গোটা দেশের পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেবাশিসবাবু।
‘পুরো দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমরা ভীত, আমাদের মেয়েকে আক্রমণ করা হয়েছে, আগামীকাল অন্য কাউকে মারধর করা হবে। কে জানে, এমনকি কালকে আমাকেও মারধর করা হতে পারে’, ঐশী আঘাত পাওয়ার পর বলেন তাঁর বাবা। ঐশীর মা শর্মিষ্ঠাদেবীর দাবি, পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্যকে। একই সঙ্গে মেয়ে মার খেলেও আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসার কথা কখনই বলবেন না জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আঘাত পাওয়ার পর ঐশীর মাথায় পাঁচটা সেলাই পড়েছে বলে খবর। মেয়ের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঐশীর বাবা বলছেন, ‘মেয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারিনি। অন্যান্যরা বলেছে যে অনেকদিন ধরেই ওরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাচ্ছিল। কাল রাতে এবিভিপি ঢুকে হামলা চালায়। আমরা দুশ্চিতার মধ্যে দিয়ে সময় কাটাচ্ছি।’ দেবাশিসবাবুর মতে, যেখানেই বামপন্থী আন্দোলন হয়, সেখানেই বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়। ‘যেহেতু ও বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, তাই সবাই ওদের আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে’, বলেন ঐশীর বাবা।
অন্যদিকে ঐশীর মা বলেন, ‘অবিলম্বে উপাচার্যের ইস্তফা দেওয়া উচিত। উনি কিছুই করছেন না। ছাত্রদের কথা আলোচনা করার কোনও ইচ্ছাই নেই ওনার। সেই জন্যই এত ঘটনা ঘটছে। গোটা আন্দোলনে অনেক ছেলে-মেয়ে ওর পাশে রয়েছে। প্রত্যেককে মারা হয়েছে। কেউ কম কেউ বেশি আঘাত পেয়েছে। আমি ওকে কখনও বলব না আন্দোলনের রাস্তা থেকে ফিরে আয়।’