মহানগর ডেস্কঃ গত কয়েক বছরে কলকাতার ভোল বদলেছে অনেকটাই। তাতেই অভিভূত শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল। তিনি অভিভূত হয়ে জানান, বাণিজ্য নগরী অর্থাৎ মুম্বই যা করতে পারেনি, তা করে দেখিয়েছে সিটি অফ জয়। পাশাপাশি তিনি জানান, কলকাতা সম্পর্কে কয়েক বছর আগেও একটা নেতিবাচক মনোভাব ছিল বাণিজ্যিকদের। শিল্পে বিনিয়োগ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সমস্ত রকম সহায়তা করছে। কলকাতায় এসে বুধবার শহর এবং রাজ্যের শিল্প সম্পর্কে এমন দরাজ প্রশংসা, আসলে রাজ্য সরকারেরই প্রশংসা। এই প্রশংসাই যে আখেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের শিল্পায়নের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করার পথে সাহায্য করবে অনেকটাই এমন মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিল্পপতি জিন্দাল জানান, স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতের উন্নয়নের ধারা শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে। বর্তমানেও কলকাতার উন্নয়নের পরিবেশ অসাধারণ। কলকাতার রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম না থাকা বিষয়টা জিন্দালকে আকৃষ্ট করেছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি কলকাতার ফ্লাইওভারগুলিকে ব্যংককের সঙ্গেও তুলনা করেন। জানান, ব্যাংককের মত ৭-৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার। এই প্রসঙ্গেই জিন্দাল বলেন, মুম্বই যা করতে পারেনি কলকাতা তা পেরেছে।
রাজ্যে শিল্পায়ন প্রসঙ্গে জেএসডব্লিউ গোষ্ঠীর শালবনি প্রকল্পের কথাও এদিন উত্থাপন করেন জিন্দাল। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থাকাকালীন তাঁরা শালবনিতে একটি ইস্পাতের কারখানা করতে চেয়েছিলেন। অথচ এই রাজ্যে লৌহ আকরিকের খনি না থাকায় তাঁরা তা করতে পারেননি। পরে প্রকল্পটি ওড়িশায় স্থানান্তরিত করা হয়। তবে বর্তমানে শালবনিতে অন্য অনেক কিছু করার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি এদিন তিনি জানান, উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ মিলিয়ন টনের উপর নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সরকার যখন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরনের জন্য নিলাম করবে তখন জিন্দাল গোষ্ঠীও তাতে অংশ নেবেন বলে জানান। ইস্পাতের দাম প্রসঙ্গে এদিন জিন্দাল জানান, দাম এখন স্থিতিশীল রয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্র ইস্পাতের উপর রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করতে পারে। জেএসডব্লিউ স্টিল তাদের উৎপাদনের প্রায় ২৫ শতাংশ রপ্তানি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শুল্ক চাপায় সংস্থার রপ্তানি ধাক্কা খেয়েছে।