মহানগর ডেস্কঃ সল্টলেকের ইন্দিরা ভবন। একসময়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বাস ভবন ছিল এই বাড়ি। সেই সুত্রেই তাবড় তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পায়ের ছাপ পড়েছে ওই বাড়িতে। সঙ্গে ছিল বিদেশী অতিথিদের আনাগোনাও। বহু স্মরণীয় রাজনৈতিক আলাপ আলোচনার সাক্ষীও থেকেছে ওই ইন্দিরা ভবন।
সালটা ২০১০। জানুয়ারি মাসে প্রয়াত হন জ্যোতি বসু। জ্যোতি বসুর প্রয়াণের আগেই সল্টলেকের ইন্দিরা ভবন হেরিটেজ তকমা পেয়েছিল। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর পরে ধীরে ধীরে কৌলিন্য হারিয়েছে এই ইন্দিরা ভবন। বর্তমানে সরকারি অতিথি নিবাস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ওই ভবন। তবে এবার বহু ইতিহাসের সাক্ষী ওই বাসভবনকে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। ইন্দিরা ভবনের নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়াতে কোনও পেশাদার এজেন্সিকে দায়িত্ব দিতে চলেছে রাজ্য। এমনই জানানো হয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সূত্রে।
প্রাথমিক পরিকল্পনা, গোটা ভবনটারই সংস্কার করা হবে। আরও বেশি অতিথি যাতে থাকতে পারেন তার জন্য নতুন একটি বিল্ডিংও তৈরি করা হবে। ইন্দিরা ভবনের মধ্যে বেশ খানিকটা ফাঁকা জমি রয়েছে। সেই জমিতেই তৈরি হবে নতুন বিল্ডিং। পুরনো বাড়িটিকে অক্ষত রেখে সংস্কারের কাজও করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সঙ্গে থাকবে বাহারি ফুল ও ফলের গাছও।
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকেরা জানান, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ইন্দিরা ভবনকে আরও ঝাঁ চকচকে করে তোলা হবে। যাতে প্রয়োজনে কোনও ভিআইপি পাকাপাকি ভাবে থাকতে পারেন। ভিআইপিদের বসবাসের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রোটোকল আছে। তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেও ইন্দিরা ভবনকে নতুন করে সাজানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।