মহানগর ডেস্ক : বাঙালিদের কাছে কালী পুজো মানেই শক্তির আরাধনা। কালির অপর নাম শ্যামা বা আদ্যা শক্তি। হিন্দুধর্মে কালী হচ্ছেন দুর্গা বা পার্বতীর এক ভয়াল রূপ। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনের শক্তি এবং সংহারের দেবী তিনি। শাক্ত মতে দেবী কালী শাক্ত তান্ত্রিক বিশ্বাস মতে তিনি পরমব্রহ্ম। অশুভ শক্তির বিনাশ করেন তিনি। প্রধানত শাক্ত ভক্তরা কালীপুজো করে থাকেন। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত। দশমহাবিদ্যার তিনি প্রথম মহাবিদ্যা।
তবে দেবী কালী অসংখ্য নামের মধ্যে দক্ষিণ, সিদ্ধ, ভদ্র, শ্মশান, রক্ষা এবং মহা ইত্যাদি নামে বেশি পূজিত হন। দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন এর জন্যই তিনি মর্তে আসেন। দেবী কালীর আবির্ভাব কী ভাবে হয়? দেবাসুরের যুদ্ধে পরাজিত দেবতাদের প্রার্থনায় আদ্যাশক্তি ভগবতী পার্বতীর দেহ কোষ থেকে দেবী কৌষিকী আবির্ভূত হন। সেই সময় ভগবতী দেবী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন বলে তাঁর নাম হয় কালী বা কালিকা। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এই তিনটি কাল নিয়ে মহাকাল। আর সেই মহাকালের শক্তি হলেন কালী। অনন্তকালে সৃষ্টি রূপিণী পরমা প্রকৃতির রূপ এই মহাকালী। যারা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করতে চান তারা তন্ত্র এবং মন্ত্র ক্ষমতায় যারা বিশ্বাস করেন। আবার যারা মানুষরূপী হয়েও ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী হতে চান তারা কালী পুজো অত্যন্ত ভক্তি সহকারে করে থাকেন।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক যে বিশেষ কয়েকটি কাজ করলে কালীপুজোর দিন এই আপনার ভাগ্য খুলে যেতে পারে। কী সেই টোটকা! দেখে নিন…
১. কালীপুজোর দিন সকাল থেকে সারা রাত পর্যন্ত একটি ঘিয়ের প্রদীপ ঠাকুরঘরে জ্বালিয়ে রাখুন। সেটি যাতে নিভে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
২. এদিন কালীমন্দিরের নৈবেদ্য হিসেবে আতপ চাল, একটি গোটা নারকেল, ১০৮টি জবা ফুলের মালা ও ঘি দান করুন।
৩. দীপান্বিতা কালী পুজোর রাতে বাড়ির ছাদে একটি কালো রঙের পাঁচমুখী প্রদীপ জ্বালান।
৪.কালীপুজোর দিন সন্ধ্যেবেলেয়া বটগাছে গোড়ায় তিনবার কালো তিল রাখুন। তাতে দেবী নাকি প্রসন্ন হন। মনের আশা পূরণ হয়।
৫. কালীপুজোয় উপবাস করলে পুজোর পরের দিন ব্রাহ্মণ ভোজন করাতে পারেন। তাতে দীর্ঘায়ু ও মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।
৬. যদি সম্ভব হয়, কোনও মন্দিরে একটি খাঁড়া দান করুন। বিপদ আপনার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবে না।