
মহানগর ডেস্ক: পাঞ্জাবের রাজনীতিতে একের পর এক কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা ইস্তফা দিয়েই চলেছেন। আর এই পরিস্থিতির জন্যে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডকেই দায়ী করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। আজ একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্যত নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ” এখন কংগ্রেসে কোনও নির্বাচিত সভাপতি নেই। আমরা জানি না কে এইসব সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে। আমাদের উচিত জোট দ্রুত সম্ভব কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটি বৈঠক ডাকা” । তিনি আরও বলেন, ‘কেন নেতা নেত্রীরা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন? এই বিষয়টিতে আমাদের নজর দেওয়া উচিত, হয়তো আমাদেরই কোথাও ভুল হচ্ছে। আমরা কোনওদিন দল ছেড়ে যাব না এবং অন্যকোনও দলের মতাদর্শে বিশ্বাসও করব না। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হল, যেসব নেতা নেত্রীদের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের খুবই কাছের মনে করতেন তাঁরাই দল ছেড়েছেন এবং যাঁদের কাছের মনে করতেন না তাঁরাই দলে রয়ে গেছেন।’
পাঞ্জাবের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ পাঞ্জাবের মত একটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে কংগ্রেসের এই প্রকার সমস্যায় আইএসআই এবং পাকিস্তানেরই সুবিধা হচ্ছে। আমরা পাঞ্জাবের ইতিহাস জানি। এবং সঙ্গে এটাই জানি সেখানে কীভাবে চরমপন্থার উত্থান ঘটেছিল। কংগ্রেসের উচিত নিজেদের মধ্যে একতা বজায় রাখা।’ তিনি কংগ্রেসে এই ভাঙন সম্পর্কে বলেন, ‘ আমার খুবই খারাপ লাগে আজ কংগ্রেসের এই অবস্থা দেখে। আমাদের দলের একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে আর সেই দলেরই আজ এরম অবস্থা।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পাঞ্জাবের রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীয় মোড় দেখা গিয়েছে। প্রথমে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং সেই জায়গায় পাঞ্জাব পায় রাজ্যের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে। এরপর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয় কিন্তু সেই মন্ত্রিসভায় যেসব বিধায়কদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে তাতে অখুশি হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন নভজ্যোত সিং সিধু। সিধুর পথ অনুসরণ করে এরপর রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়ক রাজিয়া সুলতানা ইস্তফা দেন।