মহানগর ডেস্ক: তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য (Objectionable Comment) করায় বিজেপির সাংসদ ধর্মপুরী আনন্দকে (BJP MP) চটি মারার (Slapping Slipper) হুমকি দিলেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসি আরের মেয়ে বিধায়ক কে কবিতা। রীতিমতো ঝাঁঝালো সুরে তিনি বলেন বিজেপি সাংসদ একজন অধঃপতিত মানুষ। তাঁরা তাঁকে পাথর ছুড়বেন না। তিনি একজন নীচুস্তরের মানুষ। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এমন মানুষ বিজেপিতে রয়েছেন। তাঁর হুঁশিয়ারি বিজেপির সাংসদ যদি এরকম মন্তব্য করতে থাকেন,তাহলে তাঁকে নিজামাবাদের চৌরাস্তায় চটি দিয়ে মারবেন। তাঁরা একেবারে চুপ থাকবেন না। কেসি রাওয়ের মেয়েকে অশালীন মন্তব্য করার প্রতিবাদে বিজেপি সাংসদের বাসভবনে ভাঙচুর চালায় টিআরএসের সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে কেসি রাওয়ের মেয়েকে সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করলে তিনি এমনই হুঁশিয়ারি দেন। কে কবিতা রীতিমতো ঝাঁঝালো গলায় বলেন বিজেপি সাংসদ একজন নোংরা মানুষ। অভিযোগ, টিআরএসের সমর্থকরা সাংসদের বাসভবনে বেশকিছু মূর্তি ও গাড়িতে পাথর ছুড়েছে। পাথর ছোড়ায় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে হামলার পর বিজেপি সাংসদ ধর্মপুরী অরবিন্দ টুইট করে জানিয়েছেন টিআরএসের কর্মী-সমর্থকরা তাঁর বাসভবনে ভাঙচুর চালিয়েছে এবং তাঁর মাকে ভয় দেখিয়েছে। তাঁর বাড়িতে প্রবল হইহল্লা করেছে টিআরএসের কর্মী-সমর্থকরা বলে টুইটে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তাঁকে চটি মারার হুঁশিয়ারির ব্যাপারে সাংসদ জানান তিনি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন এবং তাঁর বাবা (কেসি রাও)-কে মারবেন। আর তাঁর মেয়ের দায়িত্ব নিতে হবে টিআরএসের মহিলা শাখাকে। বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের পরই নিজামাবাদে টিআরএস কর্মী-সমর্থকরা টিআরএসের পতাকা নিয়ে হামলা চালায়।
সাংসদের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এই ঘটনায় পুলিশ পঞ্চাশজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করেছে। আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সাংসদ ধর্মপুরী অরবিন্দ কেসিআরের পরিবারের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। বিজেপি কবিতাকে দলে নেওয়ার জন্য টোপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করার পরই কেসিআরের মেয়ে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংসদের আরও অভিযোগ কবিতা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুনের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় স্তরের কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কারণ টিআরএস থেকে বিআরএস নাম পরিবর্তনের অনুষ্ঠানে কেসিআরের মেয়েকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ধর্মপুরী অরবিন্দের কাছে হেরে যান কবিতা। তিনি জানান, বিজেপির কিছু লোক তাকে দলে যোাগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।