মহানগর ডেস্ক: বিস্ফোরক কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Kerala Governor Accuses) । বাম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কিছুদিন ধরেই তাঁর খটামটি চলছে। আর এই ঝঞ্ঝাটের মধ্যেই বোমা ফাটালেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ,মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতর চোরাচালানের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে (CMO ‘patronising smuggling activities)। এই ধরণের পরিস্থিতিতে তাঁর হস্তক্ষেপ করার যথেষ্ট রয়েছে। রাজ্যপাল জানান তিনি কখনও সরকারের কোনও কাজে হস্তক্ষেপ করেননি। তাঁর এমন বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যরাজনীতিতে। প্রশ্নের মুখে কেরলের সিপিএমের রাজ্যপাট। ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, যা নজিরবিহীন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল? রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি কখনও সরকারের কোনও ব্যাপারে নাক গলাননি। কিন্তু ইদানীং তিনি জানতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতর সমস্ত চোরাচালানো মদত দিয়ে চলেছে। যদি রাজ্য সরকার,সিএমও এবং মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনেরা চোরাচালানের কাজে জড়িত থাকে,তাহলে তাঁর পক্ষে তাতে হস্তক্ষেপ করার কারণ রয়েছে।
বাম মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের চ্যালেঞ্জ,যদি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তাঁকে কোনও একটা ঘটনা দেখাতে পারেন, তাহলে তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। গত বুধবার তিরুঅনন্তপুরমে একটি সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আরএসএস ও সঙ্ঘপরিবারের কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তারই জবাবে পাল্টা এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল এমনসব কাজ করে চলেছেন যেন তিনি বিচারবিভাগের ঊর্ধ্বে কোনও প্রতিষ্ঠান এবং বিধানসভার ক্ষমতা অতিক্রম করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপাল সাফ জানান, যদি মুখ্যমন্ত্রী দফতর চোরাচালানে যুক্ত থাকে, তাহলে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন। তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেআইনিভাবে নিয়োগ করে,তাহলে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন। তিনি জানেন না কেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এ ধরণের বেআইনি কাজ জড়িয়ে পড়ছে। তাঁর কাছে পেশ করা এগারোটি অর্ডিন্যান্সে সই করতে অসম্মত হওয়া নিয়ে রাজ্যপালের পাল্টা অভিযোগ সরকারের লিগাল অ্যাটর্নি তাঁকে ভুল বুঝিয়ে বলেছিলেন যা হচ্ছে, তা ঠিক। কিন্তু তিনি তার প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি কোনওভাবেই কোনও বেআইনি কাজে সামিল হতে পারবেন না। পরে অবশ্য নটি বিলে সই করেন। তবে লোকায়ুক্ত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ক্ষমতা ছাঁটাই সংক্রান্ত বিল সম্মতি দিতে অস্বীকার করেন রাজ্যপাল।