মহানগর ডেস্ক: আধার কার্ড জন্ম তারিখ প্রমাণের চূড়ান্ত নথি নয়, জুভেনাইল জাস্টিস (শিশু সুরক্ষা) আইন, ২০১৫-র অধীনে এমনই পর্যবেক্ষণ করল কেরল হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট একটি মামলায় অভিযুক্তের বয়স নিয়ে বিবাদ ওঠে। সেই আবহে বামফ্রন্ট শাসিত রাজ্য কেরলের উচ্চ আদালতের বিচারপতি বেচু কুরিয়ান জানান, স্কুল সার্টিফিকেটে উল্লিখিত বয়সই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। বিচারপতির কথায়, কোনও কারণে স্কুল সার্টিফিকেট না থেকে থাকলে পুরসভা বা পঞ্চায়েতের দেওয়া জন্ম শংসাপত্রের বয়স টাই চুড়ান্ত প্রমাণ পত্র হিসেবে ধরা হবে।
উল্লেখ্য, অসমের এক বিবাহিত পুরুষের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযুক্তর দাবি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী এখনো সেই নাবালক। আদালত যেন তার বিচার সেভাবেই করেন। এমনকি সে জামিনের জন্য আবেদন করে। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, আধার কার্ডের উল্লেখিত বয়স অনুযায়ী মক্কেল নাবালক। সেখানে দেওয়া আছে জন্ম ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি। যদিও স্কুল সার্টিফিকেট বলছে অভিযুক্তের জন্ম ২০০৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। আর এই আবহে আদালত স্কুল সার্টিফিকেটের জন্ম তারিখকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘জুভেনাইল জাস্টিস (শিশু সুরক্ষা) আইন ২০১৫-র ৯৪(২) ধারা অনুযায়ী যদি স্কুল শংসাপত্র অর্থাৎ ম্যাট্রিকুলেশন বা সমমানের সার্টিফিকেট থাকে তাহলে সেই শংসাপত্রে উল্লিখিত জন্ম তারিখই শুধুমাত্র বয়সের প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য।অভিযুক্তের ক্ষেত্রেও সেটাই হবে’ উল্লেখ্য, এর আগে কর্ণাটক হাই কোর্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ করেছিল, জুভেনাইল জাস্টিস (শিশু সুরক্ষা) আইন ২০০৭-এর ১২(৩) নং ধারা অনুযায়ী, কোনও নির্যাতিতার স্কুল সার্টিফিকেট বা জন্ম শংসাপত্র যদি না থাকে তাহলে নির্যাতিতার বয়স নিয়ে চিকিৎসকের মতামত গ্রহণ করা হবে। সেই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই অভিযুক্তের বয়স নির্ধারণ প্রসঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল কেরল হাই কোর্ট।