Home Featured Killed Live In Partner : লিভ-ইন পার্টনারকে মেরে দেহ পঁয়ত্রিশ টুকরো, পুলিশের জালে সঙ্গী যুবক

Killed Live In Partner : লিভ-ইন পার্টনারকে মেরে দেহ পঁয়ত্রিশ টুকরো, পুলিশের জালে সঙ্গী যুবক

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: নারকীয় ছাড়া আর কিছু বলা যাবে না এই নৃশংস ঘটনাকে। লিভ-ইন পার্টনারকে (Killed Live In Partner) গলা টিপে মেরে দেহ পঁয়ত্রিশটি টুকরো করে (Chopped Into 35 pieces) তা রেখে দিয়েছিল ফ্রিজে। তারপর আঠেরো দিন ধরে দিল্লির মেহরুলি জঙ্গলে (Mehruli Forest) একেকটা টুকরো পুঁতে দেয় তার পুরুষসঙ্গী। প্রতিদিন রাত দুটোর সময় সে জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে দেহের টুকরো পুতে দিতো। খুনের ঘটনাটি ঘটেছে গত মে মাসের আঠেরো তারিখে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ায় লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে গলা টিপে মেরে ফেলে আফতাব। তারপর খুনের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে পঁয়ত্রিশটি টুকরো করে। সেগুলো সে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেয়।

এরপর রোজ রাত গভীর হলেই ফ্রিজ খুলে একেকটি টুকরো বের করতো সে। তারপর সেই টুকরো নিয়ে চলে যেতো মেহরুলির জঙ্গলে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় টুকরোগুলি পুঁতে দিতো। আফতাবের ধারণা ছিল কেউ-ই তার কাণ্ড জানতে পারবে না। আফতাবের লিভ-ইন পার্টনার ছাব্বিশ বছরের শ্রদ্ধা মুম্বইয়ে এক বহুজাতিক সংস্থার কলসেন্টারে কাজ করতো। সেখানে আফতাবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা হওয়ার পর দুজনে দেখা করা শুরু করে এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে থাকে। যদিও তাদের এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি শ্রদ্ধার পরিবার। তারা মুম্বই থেকে পালিয়ে গিয়ে দিল্লির মেহরুলি চলে আসে। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করে। এরপর শ্রদ্ধা তার পরিবারে ফোন ধরা বন্ধ করে দেয়। নভেম্বরের আট তারিখে তার বাবা বিকাশ মাদান তাঁর মেয়ের খোঁজ নিতে আসে। শ্রদ্ধার ফ্ল্যাটে এসে তালা মারা দেখতে পায়। তারপর তিনি মেহরুলি থানায় মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হতো। পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করেছে। শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলির খোঁজ চালানো হচ্ছে।

You may also like