মহানগর ডেস্ক: আর পাঁচটা মানুষের মতো তারা নয়। লম্বায় ফুট তিন কী চারেক। যাকে বলে বামন (Dwarf)। এরকম মানুষ আমাদের চোখে মাঝেমাঝেই পড়ে। তাদের দেখে অনেকই বেশ মজা-টজা পান। হাসি ঠাট্টা তামাশা করেন। কিন্তু তাদের যন্ত্রণাটা বোঝার চেষ্টা করেন না। চিনের দক্ষিণ চিনের (South West China) কুনমিনের (Kunmin) কাছে এমন একটা জায়গা রয়েছে যেখানে সবাই বামন। জায়গাটার নাম কিংডম অব দ্য লিটল পিপল (Kingdom of Little People)। এটা আসলে বামনদের শহর। যাকে পার্ক বলাটাই ভালো। এই পার্কের গুণগান করা মানুষেরা বলেন, এখানে থেকে বামনেরা রোজগার করতে পারে। কিন্তু শহর বা গ্রামে থাকলে একটা টাকাও তারা রোজগার করতে পারবে না। কথাটা ভুল নয়। বলুন না কে ওদের কাজ দেবে ? ওরা যে মানুষ হয়েও মানুষ নয়। তাই চিনের যেখানে যত বামন আছে তারা এখানেই থাকে।
বড় কথা হল, সাধারণ মানুষের সমাজে থাকলে চিরকালই বিদ্রুপ তামাশার পাত্র হিসেবে বেঁচে থাকতে হবে, তাই এখানে থাকাই ভালো। এখানে সবাই নিজেদের মতো আছে। ফূর্তিতে আছে। নাচ করে এখানে আসা মানুষদের মনোরঞ্জন করে মাসে টাকাও রোজগার করে। ২০১০ সালে এখানে একশোজন বামন কাজ করতো এখানে। যাদের বয়স ১৯ থেকে ৪৮বছরের মধ্যে। এখানে যাদের কাজ দেওয়া হয় তাদের কম করে ৫১ ইঞ্চি লম্বা হতে হবে। এদের থাকার জায়গাটা বিশেষভাবে বানানো। শোবার জন্য ছোট্ট খাট। সবকিছুই ছোট ছোট। তারা যখন নাচগান করে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে,তখন তারা মাশরুমের মতো দেখতে ছোট্ট বাড়িতে থাকে।
এই পার্কটা তৈরি করেছিলেন ধনী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী চেন মিনগিং। কুনমিনের পশ্চিম শহরতলির ডায়ান লেকের কাছে তাঁর একটি কমপ্লেক্স ছিল। এই শহরতলিতে আছে প্রজাপতি ইকলোজিকাল পার্ক। পড়ুয়ারাই এখানে আসেন। তবে চেনের ইচ্ছে এটা একদিন চিনের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নেবে। তবে এই বামনদের পার্কের বদনাম করার লোকেরও অভাব নেই। তারা এটাকে “হিউম্যান জু” বলে থাকেন। তবে সেসবে পাত্তা দিতে চান না চেন। তাঁর ইচ্ছে আগামী দিনে এখানে একহাজার বামন কাজ করবে।