মহানগর ডেস্ক: আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ (Africa’s highest peak) মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতে (Mount Kilimanjaro) ভারতের পতাকা গেঁথে দিলেন কলকাতার ড. ফাল্গুনী দে। ৫৮৯৫মিটার এই শৃঙ্গ জয়ের মধ্যে দিয়ে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করলে তিনি। এখানেই শেষ নয়, গলা ছেড়ে গাইলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত। একই সঙ্গে ট্রেকিং এর পথে এবং ক্যাম্পে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিক সংগ্রহ করে রেঞ্জ অফিসারের হাতে সঁপে দিয়ে পরিবেশ রক্ষার একটি বৃহৎ বার্তাও দিলেন তিনি।
১১ অক্টোবর তানজানিয়ার (Tanzania) মাচামে গেট থেকে পোল্যান্ডের ২৪ জনের একটি দল যাত্রা শুরু করে। তাদের মধ্যেই ছিলেন ড. ফাল্গুনী দে। ১৫ অক্টোবর শৃঙ্গের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছান তাঁরা। ১৮ তারিখ শৃঙ্গ জয় করেই একেবারে সুস্থ ও সবল শরীরে বেস ক্যাম্পে নেমে আসেন।
জন্মসূত্রে ডক্টর দে পূর্ব বর্ধমান আউশগ্রাম অমরপুরের বাসিন্দা। যদিও কর্মসূত্র তাকে নিয়ে এসেছে কলকাতার যাদবপুরে। বর্তমানে তিনি উত্তর কলকাতার বাগবাজার উইমেন্স কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক। অধ্যাপনার সঙ্গেই মননে জাগিয়ে রেখেছেন পাহাড় চড়ার নেশা আর কবিতা লেখা। তাই বারে বারে ছুটে গেছেন পাহাড়ের কোলে। মাউন্ট কিলিমাঞ্জার জয়ের এই সফলতার কৃতিত্ব তিনি দিতে চান তাঁর স্ত্রী ও পরিবারকে। তবে এই জয়ের পথকে প্রসার করতে ব্যয়বহুল অভিযানে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সিংহানিয়া অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা ও মায়া স্পোর্টস একাডেমি, লন্ডন। এছাড়াও তার এই পর্বত জয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে আর্থিক ও মানসিকভাবে সর্বদাই সহযোগিতা করেছে পরিবার এবং দেশ-বিদেশের প্রচুর বন্ধুবান্ধব।
অধ্যাপনার পাশাপাশি শৃঙ্গজয় তার কাছে নেশার মতো। পাহাড় যেন সর্বদাই তাকে হাতছানি দেয়। দু চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে তাই তিনি বারে বারে পাহাড়ের টানেই ছুটে গেছেন লাদাখ, জম্মু কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, সিকিমের বিভিন্ন ট্রেক এবং এক্সপিডিশন রুটে। সঙ্গে শুধু শৃঙ্গ জয় নয় একাধিকবার পরিবেশ সচেতনতায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। আগামী দিনেও এভাবেই ফাল্গুনী পাহাড়ের পথ বেয়ে বেয়ে পরিবেশে রক্ষার বার্তা দিতে চান তিনি।