মহানগর ডেস্ক: শুরু ১৫ কোটি থেকে, এরপর রেশন দুর্নীতি মামলায় শেয়ার বাজারের মতোই একশো থেকে হাজার হয়ে আর্থিক তছরুপের গ্রাফ একেবারে ১০ হাজার কোটিতে পৌঁছে গেল। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার আদালতে এমন তথ্যই পেশ করল ইডি।ধৃত শঙ্কর তাঁর ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে মোট ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন, এমনটাই কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে আদালতে।
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যার মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা পাঠান একাই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে অভিযোগ, বাংলাদেশ এবং দুবাইয়ে ২ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল মোট ৯০টি ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে।তবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ জ্যোতিপ্রিয়র একারই কি না, সে বিষয়েও চলছে তদন্ত।
বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ শঙ্কর ওরফে ‘ডাকু’কে শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ইডি গ্রেপ্তার করে।এর পর তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পরে শনিবার সকালে তাঁকে পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ইডি বিশেষ আদালতে।
ইডি-র আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী শঙ্করকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বিচারক শুভেন্দু সাহার উদ্দেশে বলেন, ‘শঙ্কর আঢ্যের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। শঙ্করের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এজেন্সির মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি অবৈধ টাকা ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছে। এরমধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।’
পাশাপাশি,ইডি-র আরও এক আইনজীবী ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় একই সঙ্গে সওয়ালে বলেন, ‘তদন্তে আরও কিছু উঠে আসতে পারে। ফলে শঙ্কর আঢ্যকে হেফাজতে নেওয়া জরুরি।’ আদালতে এদিন ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১০ বছর ধরে এই দুর্নীতি চলছে। এরপরেই বিচারক বিষ্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘এত টাকার লেনদেন হচ্ছে, আর বলা হচ্ছে এটা নাকি গরিব রাজ্য!’