মহানগর ডেস্ক: যাদবপুরের র্যাগিংকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন পড়ুয়াকে আলিপুর আদালতের সম্মুখে কলার ধরে চড় মারলেন এক আইনজীবী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন অভিযুক্তকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়। তাদের আদালতের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার সময় আইনজীবী রমা ঘোষ সত্যব্রত নামে একজন ধৃতকে মারতে থাকেন।
এই ঘটনার জেরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আইনজীবী রমা ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্তরা, নাহলে গলায় পা দিয়ে মাটিতে ফেলে নলি টিপে ধরতাম’। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই কারণে অভিযুক্তদের আগেই মার দেওয়া উচিত ছিল। গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হোস্টেল এর তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়, প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। হোস্টেলের নিচে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায়। এই মামলায় পুলিশ পকসো ধারা যোগ করেন।
এরপর সোমবার আলিপুর আদালতে পেশ করার সময় উক্ত ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, এই সত্যব্রত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি নদীয়ার হরিণঘাটা পৌরসভার অন্তর্গত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষপুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লেখাপড়াতে ছোট থেকেই তিনজনের মধ্যেই থাকতেন তিনি।