মহানগর ডেস্কঃ গ্রেফতারির পর ফের নিয়োগ দুর্নিতি মামলায় নাম জড়ালো প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। খাস কোলকাতায় পার্থ’র বাড়ির সামনেই ইডির স্ক্যানারে পার্থ ‘ঘনিষ্ট’ এক প্রমোটার। আজ সাত সকালেই ইডি গোয়েন্দাদের একটি টিম হানা দেয় সেই প্রোমোটারের বাড়িতে। সেখান থেকে মাত্র ১০ মিটারের দূরত্বেই রয়েছে পার্থর বাড়ি।
এদিন সকালে ১/৮৩ নাকতলায় হানা দেয় ইডি। ইডি সুত্রের খবর, ২০১৪-১৫ সালের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ এই প্রোমোটারের ব্যবসায়ীক বাজার ফুলে ফেঁপে ওঠে। সেই সঙ্গেই ইডি সূত্রে জানা যায় রাজীব দে নামে ওই প্রোমোটারের নাকতলা অঞ্চলেই বেশ কয়েকটি আবাসন রয়েছে। এদিন নাকতলা ১/৮৩ তল্লাশির পরে রাজীব দে নামে ওই ব্যবসায়ীর ১/৭৮ নাকতলায় আবাসনেও পৌছায় ইডি। সেখানেও চলে তল্লাশি। তাঁর তৃতীয় ফ্ল্যাট, ১/১০১, নাকতলা, শ্রী রাম এনক্লেভ। জানা যায় সেখানেওহানা দেয় ইডি।রাজীব দে’র যেই সমস্ত আবাসনে বেশি যাতায়াত ছিল সেই সমস্ত আবাসন গুলিকে চিহ্নিত করেছে ইডি। আর সেখানেই তল্লাশি চালিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।
রাজীব দে-র চতুর্থ বাড়ি, বাঁশদ্রোনী থানা এলাকার ৪, দক্ষিণ রায়নগর শ্রীরাম সেবালায়। এদিন সেখানেও পৌছে যায় ইডি অফিসারেরা। ১. ১/৮৩ নাকতলা সুহাসি, ২. ১/৭৮ নাকতলা শান্তিনিকেতন, ৩. ১/১০১ শ্রীরাম এনক্লেভ। সবকটি আবাসনই কমবেশি ৫০-১০০ মিটারের মধ্যেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি সূত্রে খবর, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশ কিছু কাগজ পত্র নথিপত্র খতিয়ে দেখার সময়েই তাঁদের স্ক্যানারে পার্থ ঘনিষ্ট রাজীব দে’র নাম উঠে আসে। এরপরেই শুক্রবার সকালেই ওই প্রোমোটারের ৪টি আবাসনে হানা দেয় ইডির গোয়েন্দার দল।