মহানগর ডেস্কঃ সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনো পলাতক। এই ঘটনা নিয়ে যখন সন্দেশখালি সহ গোটা রাজ্য তোলপাড় তখনই, শাহাজাহান মামলায় নতুন করে কোমর বেঁধে তদন্তে নামতে দেখা গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরদের।আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই শাহাজাহান-‘ঘনিষ্ট’ কিছু আমদানি-রফতানি সঙ্ক্রান্ত ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি অফিসারেরা।এদিন কোলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ মোট ছটি জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা।
এদিন সকালে তল্লাশি চলাকালীন এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। জানা যায়, তদন্ত করতে এসর,এদিন ভুল বাড়িতে ঢুকে পড়েন তাঁরা। কলকাতার বিজয়গড়ের এক এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসায়ীর বাড়িতে তদন্ত করতে আসার বদলে তাঁরা পৌছে যান এলাকার গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে।ইডি গোয়েন্দাদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিল কেন্দ্রীয় সেনা বাহিনী।
এই ঘটনার পরেই ইডির স্ক্যানারে থাকা আসল ব্যক্তি, অরূপ সোমের বাড়িতে পৌঁছায় ইডির দল।10/87/3 বিজয়গড়, এই বাড়িতেই তল্লাশি চালায় গোয়েন্দারা। সুত্রের খবর রেলে চাকরি করতেন ওই ব্যক্তি। তারপরে শুরু করেন মাছের ব্যবসা। বর্তমানে তাঁর পেট্রল পাম্প,ও মাছের ব্যবসা দুইই আছে। সাহাজাহান মামলায় এই তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দারা, এমনটাই জানা যায়। এইসমস্ত ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন জায়গায় টাকা খাটানো হত বলেও খবর সূত্রের। সকাল থেকেই বাঁশদ্রোণী, হাওড়া, বিরাটি সহ ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা।
এদিন, হাওড়ার হালদার পাড়ায় পার্থ প্রতিম সেনগুপ্তের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত ব্যবসায় ‘অনিয়ম’ নিয়ে তারা নতুন একটি ইসিআইআর দায়ের করে ইডি। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত, এমনটাই জানা যায় ইডি সূত্রের।