মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল।বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার উপর বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ জারি করলেন। একই দিনের দু’টি এফআইআরে একই ঘটনায় কেন এত অসঙ্গতি, সেই নিয়েও বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন। তিনি ৩১ মার্চ পর্যন্ত মামলার স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ২২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি।
সেদিন তলব করা হয়েছে ওই দু’টি এফআইআরের কপি এবং কেস ডায়েরি।রাজ্যকেও এই বিষয়ে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। এদিন ইডির পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়,শাহজাহানের দু’টি ফোন থেকে ঘটনার সময়ে তিন মিনিটের মধ্যে মোট ২৮ বার কল করা হয়েছিল। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ‘এই ঘটনায় এই ব্যাপারটা স্পষ্ট যে ঘটনার আগে তাঁর ফোন ব্যস্ত ছিল লোক জড় করতে।’
অপরদিকে, মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়ার ঘটনার পরে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি।শুক্রবার বিজেপির ন্যাজাট থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘিরে তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকা অশান্ত হয়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। ফলে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’রাজ্যের মুখ্যসচিব ঘটনার দিনই, স্বরাষ্ট্রসচিবকে রাজ্যপাল তলব করেছিলেন। বৃহস্পতিবারই রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা ছ’দিন পরে যান রাজভবনে।