মহানগর ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি । কিছুদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে যায় ED । CBI-ED যৌথভাবে রাজ্যে পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়গুলি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এর মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার! পুরসভায় গ্রুপ ডি নিয়োগে বড় বদল আনল।
রাজ্যের পুরসভাগুলিতে এবার যাতে স্বচ্ছভাবে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ করা যায় সেই জন্য রাজ্য সরকার নিল বড় পদক্ষেপ। চেয়ারম্যানদের হস্তক্ষেপ যাতে ইতিমধ্যেই খুব একটা বেশি না হয় সেই জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলা শাসককে রাখা হচ্ছে নিয়োগ কমিটির শীর্ষে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকে সেই কারণে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এই নিয়ম কার্যকরী হবে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার ক্ষেত্রেই। তৃণমূল সরকার ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন তৈরি করেছিল ২০১৮ সালে। পুরসভার গ্রুপ এ, বি এবং সি -এর জন্য কর্মী নিয়োগ ক্ষমতা এই কমিশনের হাতেই তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, পুরসভার হাতেই দায়িত্ব ছিল ডি বিভাগ নিয়োগ করার।
গ্রুপ ডির নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে। সেক্ষেত্রে তা পুরসভার হাতে রাখার অন্যতম একটি যুক্তি ছিল যদি এই পদের জন্য বিজ্ঞাপন বার হয় সেক্ষেত্রে জমা পড়বে লাখ লাখ আবেদন। ফলে কমিশন অনেক সময় লাগাবে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে। সেই সময় তাতে সম্মতি দেওয়া হয় যাতে এই নিয়োগ করা হয় স্থানীয়ভাবে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যেত নিয়োগ কমিটির প্রধান করা হত চেয়ারম্যানদের। এর ফলে সামনে আসে রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি।