মহানগর ডেস্কঃ আজ অর্থাৎ শুক্রবার কেন্দ্রের কাছে বকেয়া দাবী চেয়ে ধর্নায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রেড রোডে দুপুর ২ টো নাগাদ আম্বেদকর মূর্তির সম্মুখে ৪৮ ঘণ্টার ধর্না কর্মসূচী চালাবে তৃণমূল নেতৃত্বরা।আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিক সহ আবাস জোযনার বঞ্চিতদের নিয়ে রেড রোডে সমাবেশ করার কথা আছে তাদরে।এর আগেও কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে একাধিক বার মমতাকে সরব হতে দেখা যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, শুক্রবার এই ধর্না শুরু হওয়ার পর তা চলবে ৪৮ ঘণ্টা ধরে এবং এর পরে আগামীকাল বঞ্চিতদের নিয়ে চলবে সমাবেশ। এই ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের গুলির মধ্যে দিয়ে পরিচালনা করা হবে। এবং একিই সঙ্গে এই কর্মসূচি বিভিন্ন জেলায় জেলায় পালন করার বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রেড রোডে মূল ধর্না মঞ্চের পাশেই তৈরি করা হয়েছে একটি কার্যালয় অফিস, মূলত সেখান থেকেই ধর্না চলাকালীন অফিসিয়াল কাজকর্ম সামলাবেন মমতা। এদিন ধর্না মঞ্চ নিয়ে মমতা বলেন “আগামীকাল(শুক্রবার) থেকে ১০০ দিনের কাজে যারা বকেয়া পাননি তাদরে জন্য, যারা ঘর পাননি তাদের জন্য রাস্তায় ৪৮ ঘণ্টা আমি নিজে করব ধর্না এবং তারপর এটা কন্টিনিউ করবে আমাদের বিভিন্ন ইউনিট।আপ্নারাও জেলায় জেলায় করবেন।বুথে বুথে করবেন।ব্লকে ব্লকে করবেন।“
এই ধর্না অবস্থান নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন-“ ২ লক্ষ টাকা লুট,CGA- রিপোর্ট ফেস করুন।মানুষের কাছে আগে তার জবাবদিহি করুক।তৃণমূলের প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ, দুর্নিতির কারণে, স্বাচ্ছাচারিতার কারণে,প্রক্লপের নাম বদলের কারণে, এক ফান্ডের টাকা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে, আজকে পসচিম্বঙ্গের অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন”।এই ধর্না মঞ্চ নিয়ে সূচ বিধতে ছারেনি বঞ্চিত SLST-র নবম দ্বাদশের চাকরিপার্থীরা।তাঁদের বক্তব্য বিকেলে ময়দান থানা থেকে মেল করে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে,শুক্রবার থেকে তিন দিন তাঁদের অবস্থান স্থগিত রাখতে বলা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন অভিষেক সেন বলেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশ নিয়ে গান্ধী মূর্তিতে বসে আছি। আমরা তো গত হাজার দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে, নিরস্ত্রভাবে ওখানে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। আমাদের জন্য যদি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়, অবশ্যই আমরা তাহলে বসব না। নিয়োগপত্রটা দিয়ে আমাদের ওখান থেকে একেবারেই তুলে দেওয়া হোক।’
উল্লেক্ষ্য, তৃণমূলের ধর্না অবস্থানের আগেই ‘জল জীবন মিশন’ প্রক্লপের এক হাজার কোটি টাকা পেল বরাদ্দ পেল রাজ্য।