মহানগর ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য বকেয়া বকেয়া থাকার মধ্যে রাজ্যের অর্থ ব্যবস্থাপনার কঠিন কাজের মুখোমুখি। ১০০ দিনের কাজের কর্মসূচি এবং আবাসন প্রকল্পের মতো কল্যাণমূলক প্রকল্প সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বকেয়া থাকার কারণে, রাজ্যের বাজেট উপস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাত্ক্ষণিক উদ্বেগের সমাধান করার জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বকেয়া পরিশোধের জন্য তহবিল বরাদ্দ করার পরিকল্পনা করেছেন, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের অর্থপ্রদানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য। রাজ্য সরকার জানিয়েছে চ্যালেঞ্জটি রাষ্ট্রের ঋণের বোঝা না বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় তহবিল খুঁজে বের করা। তবে বিরোধীরা বলছেন লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মূলত বাজার থেকে টাকা ঋন নেন কিন্তু পরে সেটি জনগণের উপর চাপিয়ে দেন।
তবে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের এই বাজেটে যে কিছুটা চমক থাকবে তা অনেকেই মনে করছেন। সেক্ষেত্রে নজর থাকবে এবার রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ায় কিনা। এনিয়ে টানা আন্দোলন করে চলেছেন সরকারি কর্মীরা। গত বছর রাজ্যে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছিল। এবার কী হয় সেটাই দেখার। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৭৮ জনকে দিতে খরচ হবে ৫৯০৭ কোটি টাকা। শুধুমাত্র অদক্ষ মজুরদের টাকা দিতে খরচ হবে ৩৫০০ কোটি টাকা। এছাড়াও ১১ লক্ষ তালিকা ভুক্ত মানুষ যারা আবাস যোজনার টাকা পাননি তাদের বাড়ি বানানোর টাকা দিতে অন্য দফতরের বরাদ্দ কাটছাঁট করার পথে হাঁটতে পারেন মমতা। সাধারণ মহিলা দের লক্ষীর ভান্ডার এর টাকা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ করা হতে পারে প্রশাসনের অন্দরে এমন সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু অর্থ দফতরের আধিকারিকদের মতে, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের টাকা দিতে অতিরিক্ত ১০০০০ কোটি খরচ হবে। কাজেই আপাতত এই খাতে টাকা বাড়ানো সমস্যা। সরকারি খরচ কমানোর ওপর এবারের বাজেটে জোর দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
উদাহরণস্বরূপ, অ-প্রয়োজনীয় এলাকায় বরাদ্দ কমানোর ফলে আবাসন নির্মাণ এবং অবৈতনিক মজুরির জন্য তহবিল খালি হতে পারে। অতিরিক্তভাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর সমন্বয় বা নির্দিষ্ট পরিষেবার জন্য ফি বাড়ানোর মতো ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর কথা বিবেচনা করতে পারেন। যাইহোক, এই বিকল্পগুলি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে বিরোধিতা বা প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারে।আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য হল বাজেটের ভারসাম্য বজায় রাখা সরকারি ব্যয় হ্রাসের উপর জোর দেওয়া এবং সম্ভবত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করার জন্য নতুন উদ্যোগ প্রবর্তন করা। বাজেট উপস্থাপনা রাজ্যের জনগণকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখে আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি নেভিগেট করার জন্য সরকারের কৌশল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।