মহানগর ডেস্ক: বুধবার সন্ধ্যাতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয় হাসপাতালে। কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্যই দীর্ঘ চার মাস পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করা হল তাঁকে। হঠাত কি এমন হল যে কাকুর কণ্ঠস্বর নেওয়া প্রয়োজন পড়ল তাই নিয়েই এখন জোর চর্চা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে একাধিক বার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে ইডিকে। তবে এবার আর কোনও বাধা নয়। আজ রাতেই কাজ সেরে নিতে এসএসকেএম থেকে জোকা নিয়ে যাওয়া হল সুজয়কৃষ্ণকে। কেন এই নমুনা জরুরি ইডির কাছে তা জানতে হলে জেতে হবে কয়েক মাস আগে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে প্রথম যেদিন ইডি কর্তারা যান ওই দিনেই রাহুল বেরা নামের একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ইডির আরেকটি দল হানা দেয়। জানা যায় কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাহুল বেরার। অভিযানে নেমে রাহুলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেই ফোন থেকেই একটি অডিও ক্লিপিং পায় তদন্তকারী দল। যে অডিওতে রাহুলের সঙ্গে অপরপ্রান্তের একজনের কথোপকথনে শোনা যায়, “মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলো”। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সন্দেহ করছে সেই গলা কালীঘাটের কাকুর। সেই সন্দেহ যে ঠিক আদালতে তা প্রমাণ করতে মরিয়া ইডি। মুখের কথা বা সন্দেহের বশে নয় বরং সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে সেই ক্লিপিং-এর সঙ্গে মিলিয়ে আদালতে প্রমাণ হিসাবে পেশ করতেই এই পদক্ষেপ নিল ইডি।
জানিয়ে রাখা ভাল, কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার জন্য জোকা থেকে অ্যাম্বুলেন্স গিয়েও ফিরে এসেছিল ডিসেম্বরের শুরুতে। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন গত ২২ অগস্টে। তখন থেকেই তিনি এসএসকেএম-তে রয়েছেন। আজ রাতেই নমুনা সংরহ করে তাঁকে পুনরায় জোকা ইএসআই থেকে এসএসকেএম ফেরানো হবে বলে জানা গিয়েছে।