মহানগর ডেস্ক : গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর পুরসভার পাশাপাশি খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ভূমিকা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। কীভাবে মেয়রের নাকের ডগায় এমন বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে তা নিয়ে পথে নেমে মেয়রের পদত্যাগের দাবি পর্যন্ত তুলেছে বিরোধীরা। তবে এবার গার্ডেনরিচেই শুধু আটকে নেই ঘটনা, কলকাতায় একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রায়শই। কী করা যায়? একের পর এক পদক্ষেপ গৃহীত হলেও এবার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করে ফিরহাদ বলেন, ‘কমিশনার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। ডিজি লেভেলে বসে মিটিং হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ঘটনাস্থলে মাটি পরীক্ষা করা হবে। বাড়ি তৈরির সামগ্রীতে কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা দেখা হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারদের কর্তব্যে কোনও গাফিলতি ছিল কি না তা দেখে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে সাসপেন্ড করবেন এবং কাকে করবেন না।এদিকে প্রোমোটারদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মেয়র বলেন, ‘যথেষ্ঠ হয়েছে। যাঁরা অবৈধ ভাবে নির্মাণ দাঁড় করিয়ে শহরকে নষ্ট করছেন, তাঁরা পুরসভার আইনকে চ্যালেঞ্জ করছেন। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি, সবাই আমরা একটা পরিবারের মতো। যা হয়ে গিয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে। এ বার মাথা উঁচু করে কাজ করতে হবে।’
কার্যত, এবার বেআইনি নির্মাণে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। কীভাবে ঘিঞ্জি জাগায় জোরপূর্বক বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে তা নিয়ে এখনও উঠছে প্রশ্ন। বেআইনি নির্মাণ রুখতে তাই বিশেষ পদক্ষেপ পুরসভার।