মহানগর ডেস্ক: এস এস দি দুর্নীতিকান্ডে সম্প্রতি তদন্তকারীদের হাতে আরো একটা নাম উঠে এসেছে, ‘রোহিত ঝা’। সিবিআই সুত্রে খবর একদম গ্রাউন্ড লেভেল থেকে টাকা তুলতো এই রোহিত ঝা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্কার তরফ থেকে শিক্ষক দুর্নীতির যে চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়েছে, সেই চার্জশিটে অ্যাকিউজস নম্বর ৭ নম্বরে নাম উল্লেখ রয়েছে তার নাম। শিক্ষক দুর্নীতিতে তার ভূমিকা কি ছিলো, সেটা বুঝতে গেলে শিক্ষক দুর্নীতি-র হায়ার্কি বুঝতে হবে। মহানগরে খোঁজার চেষ্টা করবে কি তাঁর পরিচয়, কিভাবেই বা উত্থান এই রোহিত ঝা-র।
সুত্রের খবর রোহিত ঝাঁ এর মুলত কাজ ছিলো একেবারে গ্লাসরুট লেভেলে অর্থাৎ যারা অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী তাদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পাঠানো। তারপর সেই নামের তালিকা বানিয়ে সে পৌঁছে দিতো তার পূর্ব পরিচিত প্রসন্ন রায়ের কাছে! কিভাবে আলাপ এইনপ্রসন্ন রায়ের সাথে? তার সাথে প্রসন্ন রায়ের পরিচয় ঘটেছিলো, তার পূর্ববর্তী বিসনেস পার্টনার প্রদীপ সিং-এর মারফৎ। ইডি র্যাডারে আপাতত এই তিন ব্যক্তিই।
রোহিত ঝা এর থেকে অরাপ্ত তালিকা প্রসন্ন রায় পাঠিয়ে দিতো শান্তি প্রসাদ সিনহা সহ আরো যারা প্রভাবশালী রয়েছেন তাদের কাছে। জানা যায়, রোহিত ঝাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বিহারের মধুবনিতে অঞ্চলে। পরবর্তীতে কোলকাতায় এসে সে ব্যবসা শুরু করে। তার মুল কাজ ছিলো প্রার্থীদের থেকে টাকা তোলা এবং ফাইল প্রতি নির্দিষ্ট কমিশন পেতো সে। সেই কমিশনের টাকা আবার লগ্নী হতো তার বিভিন্ন ব্যবসায়। SSC দুর্নীতি কান্ডে মূলত টাকা কোথায় কোথায় গেছে? এবং কোন খাতে ব্যবহৃত হয়েছে সেটাই খেতিয়ে দেখছে ইডি আধিকারীরা। সেই সুত্রের হদিশ পেতেই এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর টিম।