মহানগর ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুরমুর বাহ্যিক রূপ নিয়ে মন্তব্য করায় রীতিমত অপ্রস্তুতে পড়েছিল রাজ্যের শাসক দল। উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতিও। এরপরেও অখিল গিরি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। অথচ তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিরোধিতায় নেমে পড়ে বিজেপি। এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত ক্ষমা চাননি শুভেন্দু। আর তা নিয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করলেন কুনাল ঘোষ।
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারির নছিপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি এদিন জানান, অখিলবাবুর কথা সমর্থনযোগ্য নয়। দল ভুল স্বীকার করেছে, ক্ষমা চেয়েছে। বাদ যাননি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। কিন্তু বীরবাহা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এখনও ক্ষমা চাননি বলে দাবি করেন কুণাল। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, শুভেন্দুকে ক্ষমা চাইতেই হবে। নয়তো ওঁকে দিয়ে বীরবাহার জুতো পালিশ করিয়ে ছাড়বেন।
এদিন শুধু শুভেন্দু অধিকারীকেই নয়, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করেন কুণাল। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়ার পরেও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল। একইসঙ্গে সিবিআই এবং ইডির নিরপেক্ষতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন করতে শোনা যায় কুণালকে।
যদিও কুণালের এই হুঁশিয়ারিতে মোটেই সন্ত্রস্ত নন বিরোধী শিবির। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, কুণালের কথায় কিছু যায় আসেনা। বরং শুভেন্দু অধিকারী এখন তৃণমূলের কাছে ভয়ের কারণ হয়ে গিয়েছে।